বাঙালিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই দুর্গাপূজা ঘিরে মাতামাতি চলে পুজো শুরুর মাস খানেক আগে থেকেই। ছোটো থেকে বড়ো সকলের মধ্যে আনন্দের এক আলাদাই চমক লক্ষ্য করা যায়। ৩৬৫ দিনের অপেক্ষার অবসান করে উমা মর্ত্যে তার বাপের বাড়িতে আসেন তার সন্তান সন্ততিদের নিয়ে। দেবীকে স্বাগত জানাতে মানুষ মরিয়া হয়ে ওঠে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে সাজ সজ্জা থেকে মায়ের মূর্তির বিশেষ রূপ দিয়ে তাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা তো আছেই সঙ্গে রীতি মেনে দুর্গা পুজোর প্রতিটি নিয়ম বা আচার অনুষ্ঠান নিখুঁতভাবে করার ক্ষেত্রেও বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। মহালয়ায় পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে মাতৃপক্ষের আগমন ঘটিয়ে উৎসব শুরু হয়ে যায় চারিদিকে। শরতের আকাশে ধুনোর গন্ধ আর শিউলির সুবাসে এই উৎসব আরো কাছের হয়ে যায় সকলের। এইটা তো সত্যি যে আমাদের চোখের তারায় বিশ্ব হাসে, কেননা আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা মানুষ। সমপ্রীতির ডোরে আমাদের বাঁধা পড়তেই হবে। আর ত্রিনয়নী দুর্গা হচ্ছে প্রতিটি নারী শক্তির প্রতীক। নারীকে যখন অবহেলা করে আছড়ে ফেলা হয় তখন নারী নিজের অধিকার, নিজের মান প্রতিষ্ঠার জন্য হাতে ত্রিশূল তুলে নেয় সমস্ত অপশক্তির বিরুদ্ধে। প্রতিটি নারী সত্য সুন্দরের প্রতীক হোক এবং পূজনীয় হোক সবার দৃষ্টিতে।