নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন বাদুরতলা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে সিএনজি চালক নুরুল হক (৫৩) খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি জনি (৩৬) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে হত্যাকারী জনি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এর আগে বুধবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে নুরুল হককে ছুরিকাঘাত করে জনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল হক। এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাতে নুরুল হকের স্ত্রী বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে খুনি ও স্থানীয় বখাটে জনিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, খুন হওয়া সিএনজি চালক নুরুল হক বাকলিয়া এলাকার মিয়াখান নগরের স্থানীয় বাসিন্দা। তবে চান্দগাঁওয়ের খাজা রোডের পাক্কা দোকানের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়া খুনি জনি নগরীর শুলকবহর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবীর দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় সিএনজি চালক নুরুল হককে ছুরিকাঘাত করে জনি। বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার ঘাড়ে ও বুকে আঘাত হয়েছে। এ ঘটনার তার স্ত্রীর করা হত্যা মামলায় আমরা দ্রুততম সময়ে হত্যাকারী জনিকে গ্রেপ্তার করেছি। সে ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।’