বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ টুর্নামেন্টে সিনিয়রদের চেয়ে জুনিয়ররাই বেশি উজ্জ্বল। কি ব্যাটিং আর বোলিং তরুনরা দ্যুতি ছড়িয়েছে। যদিও অভিজ্ঞদের মধ্যেও কেউ কেউ আলো ছড়িয়েছেন। তবে তাদের সংখ্যা খুব কম। ব্যাটিংয়ে মুশফিক আর বোলিং রুবেল হোসেনকে বাদ দিলে পারফরম্যান্স বিবেচনায় আর কেউই নামের সুবিচার করতে পারেননি। সেদিক থেকে তরুণদের তালিকাটি বেশ বড়। সঙ্গত কারণেই তাদের জয়গানই গাইলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান। সাইফউদ্দিন, ইরফান শুক্কুর, আফিফ হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, এবাদত, সুমন খান ও শরিফুল ইসলাম । টুর্নামেন্ট শেষে এই নামগুলিই অধিক উচ্চারিত। বোলিংয়ে টুর্নামেন্টের ৪ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সবার উপরে পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান সংখ্যক উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় স্থানে রুবেল হোসেন। ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে তার পরেই আছেন সুমন খান। অর্থাৎ শীর্ষ তিন শিকারির দুইজনই তরুণ।ব্যাটিংয়েও সেই তারুণ্যেরই দাপট। ৫ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ সেঞ্চুরিতে ২১৯ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম শীর্ষে থাকলেও তার পরের দুইজনই একবারে টগবগে তরুণ। মুশফিকের সমান সংখ্যক ম্যাচে ২১৪ রান নিয়ে দুইয়ে ইরফান শুক্কুর। একই সংখ্যক ম্যাচে ১৫৭ রানে তিনে আফিফ হোসেন ধ্রুব। কাজেই তাদের নিয়ে আকরামের গাওয়া জয়গান অহেতুক নয়। তরুণদের উচ্ছসিত প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাবেক এই টাইগার দলপতি। আবার তিনি একথাও অকপটে স্বীকার করেছেন, লম্বা বিতির পর ফিরেই সবাই পারফর্ম করবে তাও কাম্য নয়। আকরাম খান বলেণ অনেক দিন পর মাঠে এসেছে খেলোয়াড়রা। সবাই যে পারফর্ম করবে তাতো না। ইতিবাচক বিষয় হল কিছু তরুণ খেলোয়াড় রান করেছে এবং উইকেট নিয়েছে। এর সাথে সিনিয়র দুই একজনও ভালো করেছে। এটা আশা করি তারা যত খেলবে ফর্মে চলে আসবে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে তাসকিন ইনজুরিতে ছিল। সেখান থকে ফিরে এসে ভালো বল করেছে। রুবেল ভালো করেছে। সুতরাং আমাদের কাছে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আমরা সবাইকে মাঠে ফেরাতে পেরেছি। এটা আমদের জন্য ইতিবাচক দিক। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে এতদিন পর মাঠে ফিরে পারফর্ম করাটা কঠিন। মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগছে। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই।