তীব্র দাবদাহের মাঝে গতকাল রোববার থেকে খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রোজা, ঈদ, পহেলা বৈশাখ এবং গরম মিলিয়ে এক মাসের বেশি সময় পর খুলেছে স্কুল–কলেজ। দীর্ঘ ছুটির পর খুললেও উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পর সহপাঠী ও বন্ধুদের পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়। তবে তাদের উচ্ছ্বাসে বাধ সাধে গরম। গতকাল সকালে নগরীর বিভিন্ন স্কুলের সামনে যানজট হয়। সঙ্গে আসা অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ছায়ায় থাকার পাশাপাশি পানি ও জুসের বোতল ব্যাগে দিতে দেখা গেছে। রোদে না দৌড়ানো এবং খেলাধুলা না করার জন্যও বলেন কেউ কেউ। চলমান হিট এলার্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না অনেক অভিভাবক। তবে প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় তারা সন্তানদের আনতে বাধ্য হয়েছেন বলে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের গেটের সামনে মন্তব্য করেন কয়েকজন অভিভাবক। তারা বলেন, আরো কয়েকদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীদের এমন কষ্টে পড়তে হতো না। সালমা আক্তার নামে একজন অভিভাবক বলেন, গরমে আমরা বড়রা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। শিশুদের অবস্থা কল্পনা করতেও ভয় লাগছে।
ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, গরমের কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ছিল। এছাড়া লোডশেডিং শিক্ষার্থীদের আরো অস্থির করে তোলে।
চট্টগ্রাম কলেজ ও সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। সাবরিনা হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বন্ধুদের অনেকেই আসেনি। আমি গরমে খুব কষ্ট পেয়েছি। প্রচুর পানি খেয়েছি।
বাওয়া স্কুলের সামনে এক অভিভাবক বলেন, সকালে বাচ্চা নিয়ে এসেছি। এখন ছুটির জন্য অপেক্ষা করছি। গরমে ঘেমে কাহিল হয়ে যাচ্ছি। বাচ্চার জন্য টেনশন হচ্ছে।