চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল প্রতিনিধি দলের তাইওয়ান সফর ‘এক চীন’ নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ওয়াশিংটনের এখন থেকেই তাইওয়ানের সঙ্গে সব ধরনের আনুষ্ঠানিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলেও তারা মন্তব্য করেছে। তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থিদের সঙ্গে মেলামেশা বিপজ্জনক খেলা। গতকাল বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের অজ্ঞাত সংখ্যক সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি দল সামরিক বিমানে করে তাইপেতে নেমেছে, মঙ্গলবার তাইওয়ানের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের ‘উসকানিমূলক’ সফরের নিন্দা জানায়। বেইজিং একই দিন তাইওয়ান প্রণালীতে টহল বিমান পাঠানোর কথাও নিশ্চিত করেছে।
চীন সবসময় তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেব দেখে। তাইওয়ান স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা চালালে স্বশাসিত দ্বীপটিকে দখল করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি তারা। অন্যদিকে তাইওয়ানের এখনকার সরকার দ্বীপটিকে সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ বিবেচনা করে। নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে তারা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও কূটনৈতিক আদানপ্রদানও বাড়িয়েছে। এসব নিয়েই সামপ্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং-তাইপে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে।