অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তরের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের সম্পত্তি ‘ক্রোক’ এবং দুটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ থাকায় বজলুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে ২২ অক্টোবর শুনানির দিন ঠিক করে দেন। খবর বিডিনিউজের।
এ সময় বজলুর রশীদের পক্ষে জামিন চাওয়া হলে তা নাকচ করে দেন বিচারক। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী বরখাস্ত এই কারা কর্মকর্তার স্থাবর সম্পতি ক্রোক এবং দুটো ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। দুদকের আদালত কর্মকর্তা মো. জুলফিকার বলেন, বজলুর রশীদ অনেক সম্পত্তি করেছেন, সেগুলো বিভিন্ন জায়গায়। সেগুলো যেন বেহাত না হয়, সেজন্যই ক্রোকের আদেশ চাওয়া হয়েছিল, আদালত মঞ্জুর করেছেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দীন গত বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। সেখানে বলা হয়, ঢাকার সিদ্বেশ্বরী রোডে রূপায়ন হাউজিংয়ের স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এর দাম হিসেবে পরিশোধ করা তিন কোটি ৮ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি। এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়সংক্রান্ত কোনো তথ্যও তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি। ফলে তার এই পরিশোধিত তিন কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাতআয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।