টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে আল ইয়াকিন বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আল ইয়াকিন বাহিনীর হাতে দু’দিন আটকে থাকার পরে পুলিশি অভিযানের ফলে শুক্রবার (৭ মে) সকালে ছেড়ে দেয়া হয় অপহৃত মহিবুল্লাহকে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রোহিঙ্গা শরণার্থী মহিবুল্লাহকে(৩০) অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা তার বাসা হতে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তিনি টেকনাফে চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘর-২১, ই-০২ ব্লকের ২১নং ঘরের মকবুল আহমদের ছেলে।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহিবুল্লাহ আরএসও বাহিনীর সদস্য সন্দেহে তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে গত ৬ মে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে টেকনাফ (ক্যাম্প-২১) চাকমারকুল ক্যাম্পের এপিবিএন সদস্যরা সম্ভাব্য সন্দেহজনক আল ইয়াকিনের সকল আস্তানায় বার বার অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানের ফলে অপহরণকারীরা অপহৃত রোহিঙ্গা শরণার্থী মহিবুল্লাহকে অক্ষত অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
উদ্ধার হওয়া মহিবুল্লাহ দুষ্কৃতিকারীদের ভয়ে নিজ বাসায় না এসে অন্যত্র অবস্থান করে।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন’র অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম তারিক সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপহৃত ভিকটিম রোহিঙ্গা শরণার্থী মহিবুল্লাহকে এপিবিএন সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে কে বা কারা তাকে অপহরণ করেছে এমন কাউকে তিনি চিনেন না বলে জানান এবং উক্ত বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করতেও অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুষ্কৃতকারীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।”