টিসিবির জন্য আমদানিকৃত ২শ’ টন পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজটি এক মাস ধরে আটকে ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো ডকুমেন্ট সরবরাহ করতে না পারায় পেঁয়াজগুলো ১ মাস ধরে খালাস করতে পারেনি বলে টিসিবি সূত্রে জানা যায়। জাহাজ থেকে পেঁয়াজগুলো খালাসের পর দেখা গেছে প্রায় ২০০ টনের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এসব নষ্ট পেঁয়াজ গত এক সপ্তাহ টিসিবি অফিসের পাশে সিইপিজেড নেভি মার্কেটের সামনে বাছাই করছিল। গতকাল বুধবার বাছাই শেষ হয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী (অফিস প্রধান) জামাল উদ্দিন আহমেদ আজাদীকে জানান, পেঁয়াজগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে এসে জাহাজে ১ মাস আটকে ছিল। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো ডকুমেন্ট সরবরাহ করতে না পারায় পেঁয়াজ গুলো খালাস করতে পারেনি। এই কারণে ১ লটের ২শ’ টনের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজগুলো খালাস করে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে জায়গা চেয়েছিল-নষ্ট পেঁয়াজ গুলো বাছাই করার জন্য। আমরা তাদেরকে জায়গা দিয়েছি নষ্ট পেঁয়াজ গুলো বাছাইয়ের জন্য। তারা নিজ দায়িত্বে বাছাই করে নষ্ট পেঁয়াজ গুলো ফেলে দিয়েছে। এসব নষ্ট পেঁয়াজের সমস্ত দায়ভার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের। আর্থিক ক্ষতিও তাদের। এখানে আমাদের কোন দায় দায়িত্ব নেই। তারা আমাদেরকে যে পরিমান ভালো মানের পেঁয়াজ বুঝিয়ে দেবে সেই পেঁয়াজের দাম পাবে। এখানে টিসিবির কোন দায়-দায়িত্বও নেই-আর্থিক ক্ষতিও নেই।