একদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ, অন্যদিকে জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু। বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েক লাখ মানুষ এ সেতু হয়ে নগরীতে যাতায়াত করে। নাজুক এ সেতু নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম কম হয়নি। কিন্তু পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ নেই। নতুন করে রেল সেতু না সড়ক সেতু, উঁচু হবে না নিচু হবে-তা নিয়ে শুরু হয়েছে তালবাহানা। তবে রেলমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সেতুটির ভাঙাচোরা স্থানে কয়েকজন শ্রমিককে রং লাগাতে দেখা গেছে গতকাল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সৃষ্টি হয়েছে হাস্যরস। সেতু ব্যবহারকারী চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী সেলিম চৌধুরী বলেন, মন্ত্রী আসার একদিন আগে ভাঙাচোরা অংশে রঙ দিয়ে সেতু ঝকঝকে করা হচ্ছে। কাল (আজ) মন্ত্রী এসে দেখবেন, এলাকাবাসী সেতুটি যতটুকু নাজুক বলে দাবি করে আসছে, ততটুকু নয়। এটা স্থানীয় জনগণের সাথে তামাশা ও প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশলী (ব্রিজ) আহসান জাবির বলেন, সেতু মেরামত একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে মন্ত্রী মহোদয় সেতু এলাকায় আসবেন, তাই এলাকাটি একটু পরিস্কার করা হচ্ছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আজ বুধবার সকাল ১০টায় নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করতে সেতু এলাকায় যাবেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন। একইসঙ্গে পুরোনো জীর্ণ সেতুটিও দেখে যাবেন তিনি।
কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. আবদুল মোমিন বলেন, মূলত রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের গণদাবিকে পাশ কাটিয়ে প্রতিবছর লক্ষ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও লুটপাটের জন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল এই সেতু নির্মাণ বিলম্বিত করছে। তিনি বলেন, সকল জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবিলম্বে নতুন প্রণীত নকশা অনুযায়ী রেল কাম সড়ক সেতুর দ্রুত বাস্তবায়ন চায় এলাকাবাসী।