প্রতিটি সম্পর্কে একটি গতিধারা থাকে। নদী যেমন আপন গতিতে চলতে থাকে, এবং সে গতিতে যদি বাধা দেওয়া হয়, তবে নদী পথ বদলে নেয়। কিংবা নতুন ধারায় প্রবাহিত হয়। তেমনি মানুষের সম্পর্কে গতিতে যখন আবেগকে বাধা দেওয়া হয়, তখন সে মোড় নিয়ে হয় নতুন পরিস্থিতির দিকে যায়, কিংবা সেখানেই থেমে থাকে। অপেক্ষার শেষে নতুন গতি পায়। ১৭৮৭ সালে ব্রহ্মপুত্র নদীতে ভূমিকম্প হলে এই নদী নতুন ধারায় যমুনা নদীর সৃষ্টি করে। আবার একই বছর তিস্তা নদীতে বন্যার ফলে নতুন গতিধারায় হয় নদীতে প্রবাহিত হয়। মানুষের জীবনের গতিও তাই।
আপনি আবেগে ভাসছেন কাউকে আবেগ দেখাচ্ছেন। অপরপক্ষে চলমান আবেগে থামিয়ে দেয়। প্রশ্রয় দেয় নয়তো বাঁধা দেয়। এভাবে চলতে চলতে একসময় আবেগি মানুষটি হয় থেমে যায়, কিংবা নতুন ধারায় চলতে শুরু করে। নতুন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হয়। কেননা মানব জীবন সবসময় চলমান। তাই আবেগকে প্রশ্রয় দিবেন নাকি দিবেন না তার হিসেব দ্রুত নিতে জানতে হয়। কারণ আবেগী আবেগ একবার থেমে গেলে তা সত্যিই জাগ্রত করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। তখনই আপনি আবেগী মানুষটিকে ভুল বিবেচনায় ভুল মানুষ বলে বিবেচিত করতেও দ্বিধা করেন না।
চলমান জীবনে আবেগেরও একটি শেষ পর্যায় থাকে। অতএব সময়ের ডাক সময়ে না দিলে অসময়ে ডাকলেও আর সাড়া পাওয়া যায় না। ঐযে নদীর গতিপথ যেমন অন্য ধারায় চলে তখন তাকে ফিরিয়ে আনা যায় না, এমনি মানুষের গতিকেও আপনি আর ফিরিয়ে আনতে পারবেন কিনা তা সময়ের সমীকরণ বলে দিবে।