জলাবদ্ধতা মুক্ত নগরী সবার কাম্য

লালন কান্তি দাশ | সোমবার , ৪ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সমস্যা। বছরের পর বছর ধরে নগরবাসী এ সমস্যায় জর্জরিত। বর্ষা মৌসুমে ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় নগরীর অধিকাংশ এলাকা। দেখা দেয় তীব্র জলজট আর যানজট। এতে শহরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ হয়ে যায় বিচ্ছিন্ন। পানিতে চলতে গিয়ে যানবাহন উল্টে ঘটে নানাবিধ দূর্ঘটনা। অনেক সময় নালা-নর্দমায় পতিত হয়ে তীব্র স্রোতে ভেসে গিয়ে ঘটে মানুষের সলিল সমাধি। নষ্ট হয় মূল্যবান কর্মঘণ্টা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর নিচতলার বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে ঘটে সম্পদহানি, পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
এ যেন নগরবাসীর সাক্ষাৎ নরক দর্শন। অথচ জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হয়। মেলে আশ্বাসের পর আশ্বাস। কিন্তু নগরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। কোটি টাকার প্রকল্পেও সুফল মেলে না। সমস্যা যে তিমিরে সে তিমিরেই রয়ে যায়। নগরবাসী এ অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। নগরপিতার কাছেও নগরবাসীর এটাই প্রধান চাওয়া। মাঝেমধ্যে মাস্টাপ্ল্যান গৃহীত হওয়ার কথা শোনা গেলেও তার অগ্রগতি অজানা। নগরীর খালগুলো উদ্ধার করে পানি চলাচলের উপযোগী করা, নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখা, পুকুর-ডোবাগুলো সংরক্ষণ, বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ইমারত নির্মাণ, পলিথিনসহ অপচনশীল বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা, সর্বোপরি নগরবাসীর সচেতনতা এ সমস্যাকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। উন্নয়নের বিপরীতে যুগের পর যুগ এ সমস্যা বয়ে বেড়ানো বড্ড বেমানান। বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করে তাদের পরামর্শক্রমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরি। এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসাসহ সেবা সংস্থাগুলোর কাজের সমন্নয় দরকার। আন্তরিকতা ও সার্মথ্যের সবটুকু দিয়ে কাজ করলে এ সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি সম্ভব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅখণ্ড স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা আবুল হাশিম
পরবর্তী নিবন্ধআমার দেখা সিআরবি