নগরীর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার একটি গুরত্বপূর্ণ এলাকা ৩৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মধ্য হালিশহর, এলাকাটির পাশ্বেই অবস্থিত বাংলাদেশের বড় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) ও বন্দর যার ফলশ্্রুতিতে বলতে গেলে দেশের সমগ্র জেলার লোকজনের বসবাস অত্র এলাকাটিতে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের বসবাস, ওয়ার্ডটিতে আরো রয়েছে প্রার্থমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা ও মন্দির রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে প্রায় ১০/১৫ দিন যাবত হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকে। ফলে প্রায় সময় এলাকায় পানি বাহিত নানা রোগ লেগেই থাকে। সাধারণ মানুষ, মুসল্লি ও শিক্ষার্থীদের ময়লা পানি দিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির কারণে ঈশান মিস্ত্রির হাট ব্রীজ থেকে পুরাতন ডাকঘর, লোহার পুল, ধোপপুল, মাইজ পাড়া, নিশ্চিন্তা পাড়া, ১নং সাইট, হিন্দুপাড়া, ২নং সাইট, নোয়াপাড়া, ধোপার দিঘির পাড়, সাচী চৌধুরী পাড়া, বাকের আলী ফকিরের টেক, শীল পাড়া, বরখান পাড়া, চান্দার পাড়া, আলী মাঝির পাড়া, কলসী দিঘীর পাড়, ওয়াশীল চৌধুরী পাড়া, খালেক সওদাগরের বাড়ি, ওমর শাহ পাড়া, ধুমপাড়া, খাজা খিজির রোড সহ পুরো এলাকায় ভয়াবহ জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকা বাসী অভিমত মহেশখালের শাখা যেটি ৩৮নং ওয়ার্ডের উল্লেখিত স্থানসমূহে দিয়ে প্রবেশ করেছে। সেটি অতি দ্রুত অবৈধ দখল মুক্ত, খনন ও সংস্কার করা গেলে বর্তমানের ভয়াবহ জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সাথে উক্ত শাখা খালটি মহেষ খালের মূল স্লুইচ গেইটের সাথে পরিকল্পিতভাবে ড্যামের মাধ্যমে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি থেকে শাখা খালটির সমন্বয় করা অতিব জরুরি, এতদবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন করছি।
মো. বদিউর রহমান
৩৮ নং ওয়ার্ড, চট্টগ্রাম।