জলবায়ু নরকের মহাসড়কে বিশ্ব

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১২ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

এটি সর্বজনবিদিত যে, বিগত কয়েক দশক প্রকৃতি নিধন-বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে উন্নত বিশ্বের মহা তান্ডব প্রায় উম্মাদ আচরণে পরিণত। মহান স্রষ্টার অপার কৃপায় সভ্যতার মানদণ্ডে এই ধরিত্রীর সবুজ বনায়ন-দূষণমুক্ত নদী সাগর-জীব বৈচিত্র্য-জীবন জীবিকার সচল প্রবাহের অনন্য সাধারণ ভূমিকা সর্বত্রই সমাদৃত ছিল। নির্মল আলো বাতাস ও বিশুদ্ধ শ্বাস প্রশ্বাসের অবারিত চারণভূমি কেন এবং কিভাবে বর্তমান দুঃসহ প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে তার সত্য-বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ প্রয়োজন। অতিসম্প্রতি মিশরের উচুঁমার্গের নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র ‘শার্ম আল শেখ’ এ অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ এ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বিশ্ব দ্রুতগতিতে নরকের মহাসড়কের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং সকলের পা এখনও গতিবর্ধকের (এক্সিলারেটর) উপরই রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। বিশ্বের প্রায় একশ দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে আমরা হেরে যাচ্ছি। একটি যৌথ জলবায়ু সংহতি চুক্তি হতে হবে, নয়তো সম্মিলিত আত্মহত্যার চুক্তি হবে।’
উক্ত অধিবেশনে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাস, উষ্ণায়ন কমানো ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলাপকালে তিনি ধনী দেশগুলোর প্রতি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের জন্য কম দায়ী দরিদ্র দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ, ধনী দেশগুলোর সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর চুক্তি এবং সব দেশে নবায়নযোগ্য-সাশ্রয়ী জ্বালানি নিশ্চয়তায় কাজ করার আহ্বান জানান। দুর্বল দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উন্নতদের জন্য ‘নৈতিকভাবে বাধ্যতামূলক’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপের স্থল যুদ্ধ, শীর্ষ দুই গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমণকারী যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অবনতিশীল কূটনৈতিক সম্পর্ক, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানি সরবরাহ সীমিত হয়ে পড়া দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে আরও দূরে সরিয়ে নেওয়ার ও ক্লিন এনার্জিতে স্থানান্তরের লাইন থেকে বিচ্যুত করার হুমকি তৈরি করছে। গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমণ বেড়ে চলেছে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিও অব্যাহত আছে আর আমাদের গ্রহ দ্রুত এমন একটি মাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা জলবায়ু বিশৃঙ্খলাকে অপরিবর্তনীয় করে তুলবে।’
৭ নভেম্বর ২০২২ গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্রমতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০০ জনের অধিক গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের সমন্বয়ে গঠিত জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা ‘লস এ্যান্ড ড্যামেজ কোলাবোরেশন’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বাপেক্ষা বিপদাপন্ন ৫৫টি দেশে ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে ৫০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। আগামী দশকে এ ক্ষতি আরও ৫০ হাজার কোটি ডলার বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবেদন প্রণেতাগণ জানান, পৃথিবীর তাপমাত্রা এক ভগ্নাংশ পরিমাণ বাড়ার অর্থ হচ্ছে আরো ক্ষতি। এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির পরিমাণ হবে ২৯ হাজার কোটি থেকে ৫৮ হাজার কোটি ডলার। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ২০২২ সালের প্রতিবেদন মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা এখন প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চাইতে ১ দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেড়ে গেছে।
স্মরণযোগ্য বিষয় হচ্ছে; ১ নভেম্বর ২০২১ স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৬) মূল অধিবেশনে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাস করার জন্য প্রধান নির্গমনকারীদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা (এনডিসি) পেশ এবং সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। উক্ত অধিবেশনে তাঁর ভাষণে উপস্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো ছিল- ধনী দেশগুলোর কার্বন নি:সরণ কমানোর ওপর জোর দেওয়া, উন্নত দেশগুলোর উচিত অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০ ঃ ৫০ ভারসাম্য রেখে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিচ্ছন্ন-সবুজ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া ও সিভিএফ দেশগুলোর উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা-খরার কারণে বাস্তুচ্যুত জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশ্বব্যাপী দায়বদ্ধতা ভাগ করে নেওয়াসহ লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সমাধান করা। এসময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় তাঁর সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ সমূহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে- দেশের এনডিসি আপডেট, ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী বিনিয়োগে ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নিজস্ব শক্তির ৪০ শতাংশ নেওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ চালুকরণ প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ দেশের বনাঞ্চল সংকুচিত হয়ে যাওয়া। বাছ-বিচারশূন্য বন উজাড় ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে দিনে দিনে তা আরও হ্রাস পাচ্ছে। প্রতি বছরই কারণে-অকারণে প্রচুর গাছ কাটায় বনাঞ্চল বা বনভূমি উজাড় হচ্ছে। ফলে কালবৈশাখী ঝড়, সাইক্লোন, অকাল বন্যা প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের বৃদ্ধিতে বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে যে কোনো দেশের ২৫ শতাংশ ভূমিতে বনজঙ্গল থাকা আবশ্যক হলেও গাছ নিধনের ফলে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে বনভূমি অনুপস্থিত। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (এএফও) বনবিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট ভূখন্ডের সাড়ে ১৩ শতাংশ হচ্ছে বনভূমি। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের দাবী দেশে বনভূমি রয়েছে মোট আয়তনের ১৭ শতাংশ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি গাছপালা শব্দ দূষণ রোধেও সহায়ক। এক হেক্টর পরিমাণ মাঝারি বন ১০ ডেসিবল শব্দ হ্রাস করতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাণী গাছপালানির্ভর হওয়ায় নির্বিচারে বন ধ্বংসে এসব প্রাণী খাদ্য ও আবাসস্থল হারিয়ে দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ এবং কঠোর আইন প্রণয়ন ও সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত জরুরি।
মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু অপরিমেয় দূরদর্শীতায় জলবায়ু পরিবর্তন থেকে দেশকে প্রভাবমুক্ত রাখার বিষয়টি তখনই যথার্থ অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তিনি উপকূলীয় এলাকায় সবুজায়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব উপলব্ধিতে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করেন। তিনি উপকূলে বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি বেশি করে নারকেল গাছ লাগানোর আহ্বান জানান। দেশের সমগ্র জাতীয়-আঞ্চলিক রাস্তার দুইপাশে গাছপালা লাগানোর সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাতেই। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ কর্মসূচি উদ্বোধনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমরা গাছ লাগাইয়া সুন্দরবন পয়দা করি নাই, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রকৃতি এটাকে করে দিয়েছে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য। বঙ্গোপসাগরের পাশ দিয়া যে সুন্দরবনটা রয়েছে, এটা হলো বেরিয়ার, এটা যদি রক্ষা করা না হয়, তাহলে একদিন খুলনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লার কিছু অংশ, ঢাকার কিছু অংশ পর্যন্ত এরিয়া সমুদ্রে তলিয়া যাবে এবং হাতিয়া ও সন্দ্বীপের মত আইল্যান্ড হয়ে যাবে। একবার সুন্দরবন যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে সমুদ্র যে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার কোন উপায় আর নাই।’
প্রকৃতি প্রেমিক বঙ্গবন্ধু সুজলা সুফলা বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের অত্যধিক গুরুত্বারোপে দেশে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন এবং বিধিমালা জারি করেন। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত বহুমাত্রিক কর্মকান্ড এখনও চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। ধারাবাহিকভাবে পবিত্র সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদে সংযোজিত হয় ‘রাষ্ট্র বর্তমান-ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র, জলাভূমি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তাবিধান করিবেন।’ পরিবেশের গুরুত্ব বিবেচনায় ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ‘ওয়াটার পলিউশন কন্ট্রোল অর্ডিনেন্স ১৯৭৩’ জারি করেন। একই বছর পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সূচিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বনজসম্পদের অবৈধ পাচার রোধে বঙ্গবন্ধু ‘চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস ফরেস্ট ট্রানজিট রুলস-১৯৭৩’ জারি করেন। এছাড়াও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-১৯৭৪’ প্রণয়ন করা হয় বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে। ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম’ উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত হয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর। সুন্দরবনের বুক চিরে প্রবাহিত নৌপথ দিয়ে ভারী জাহাজ চলাচলে সুন্দরবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার আশঙ্কায় বঙ্গবন্ধু নির্দেশে লুপ কাটিং ড্রেজিংয়ের সাহায্যে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী থেকে রামপাল উপজেলার বেতবুনিয়া পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ সংযোগ খাল খনন করে ১৯৭৪ সালে মোংলা ঘষিয়াখালী বাণিজ্যিক নৌপথ চালু করা হয়।
প্রায়োগিক কর্মকৌশল দৃশ্যমান করার উদ্দেশ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা এবং কার্যকর জনসচেতনতা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিন নদী ভাঙ্গনের দুঃসহ চিত্র-অসহায় মানুষের আর্তনাদ-শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি বিলিন হওয়ার দৃশ্যাদৃশ্য-ফসল উৎপাদনে নানামুখী বিড়ম্বনা-ভেজাল বীজ ও সার সরবরাহে দরিদ্র কৃষকদের অধিকতর নিঃস্ব করার হিংস্র সিন্ডিকেট সমূহ নির্মূলে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা অনিবার্য। কথন-বচন-আবেগ আশ্রীত কথিত প্রতিশ্রুতি জনগণকে কোনভাবে উপকৃত করছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বানে ন্যূনতম কোনো ভূমি অনাবাদী না রেখে প্রতি ইঞ্চি জমির উর্বরতার যথার্থ ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ছাড়া আগামী দিনের সম্ভাব্য খাদ্য সংকট উত্তরণ কোনভাবেই সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সমূহ যথার্থ ধারণ করে দেশকে নরকের মহাসড়ক থেকে বিচ্যুত রেখে স্বর্গীয় আস্বাদন গ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আপামর জনগোষ্ঠীর সুফল ভোগের ক্ষেত্রকে সমুদয় উন্মুক্ত করার দ্রুততম পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণে সামান্যতম অবহেলা কোন পর্যায়ে দেশকে পর্যুদস্ত করবে তা সহজেই অনুমেয়।

লেখক : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধসড়ক দুর্ঘটনায় চার জেলায় সাংবাদিকসহ ৫ জন নিহত