সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ–বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় কমিটি। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় নগরের রহমতগঞ্জস্থ পরিষদের প্রধান কার্যালয়ে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন। তিনি বলেন, শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ–কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ২৬ আগস্ট (সোমবার) থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত চারদিন জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় পরিষদের পক্ষ থেকে জেএম সেন হলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এবারের উৎসবের ব্যয় সীমিত করে দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ৫ লাখ টাকা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলায় বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, অনাথ ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, গীতাপাঠ, সন্ধ্যারতি, জন্মাষ্টমী পূজা ও ভোগ, দেশ ও জাতির কল্যাণে সমবেত প্রার্থনা করা হবে। সোমবার সকাল ১০টায় বের করা হবে বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রা। ধর্ম মহাসম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অন্য দাবিসমূহ হলো– বৈষম্যমূলক সকল আইন ও অধিকার বিলুপ্ত করা, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, শারদীয় দুর্গোৎসবে ৩ দিনের ছুটি, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, গণঅভ্যূত্থানে সনাতনী সম্প্রদায়ের নিহত ভাইবোনদের আর্থিক অনুদান ও আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা সেবা প্রদান, সনাতনীদের বাড়িঘর, দোকানপাট, মঠ–মন্দিরে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, দোষীদের বিচারের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও হত্যচার বিচার করা।