জন্মগত প্রতিভায় বিশ্বাসী ছিলেন না বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর। প্রচুর পরিশ্রম করতেন। কাজ করার আগে, ছবি আঁকায় কিংবা লেখার আগে প্রচুর পড়ালেখা করতেন। তাই সবার থেকে তিনি আলাদা। মৃত্যুর পরও তিনি বেঁচে থাকতে চেয়েছেন। তাঁর সৃষ্টি ও কর্ম নিশ্চয়ই বশীরকে অবিস্মরণীয় করে রাখবে। গত ১৩ অক্টোবর শিল্পী মুর্তজা বশীর এবং তাঁর সহধর্মিনী আমিনা বশীর স্মরণে আয়োজিত আলট্রামেরিন অ্যাওয়ার্ড প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পী খাজা কাইয়ুম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলট্রামেরিনের পরিচালক ও শিল্পী তনয়া মুনিজা বশীর। আরো উপস্থিত ছিলেন চবি চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিল্পী নাসিমা রুবী, প্রখ্যাত বংশীবাদক ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম, প্রাবন্ধিক ও ব্যাংকার কায়েস চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মৃন্ময় আর্ট গ্যালারির পরিচালক ও ভাস্কর সামিনা এম. করিম। উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী সীমিত আকারে মাসব্যাপী চলে। বিশেষ অতিথি মুনিজা বশীর বলেন, বাবা-মার স্মৃতি রক্ষার্থে একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস, যার মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন জনহিতকর কাজে অংশগ্রহণ করা। আলট্রামেরিন অ্যাওয়ার্ড প্রদর্শনীর বিচারক ছিলেন শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী এবং শিল্পী জামাল আহমেদ। এতে দেশি-বিদেশি ২২ শিল্পীর চিত্রকর্ম।
অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিল্পীকে সনদ এবং বিজয়ীদের সনদ, ক্রেস্ট ও নগদ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শিল্পী আবদুল্লাহ আল বশির ও শিল্পী আশরাফুল হাসান। মৃন্ময় আর্ট গ্যালারির কর্ণধার সামিনা এম. করিম জানান, কোভিড পরিস্থিতিতেও মৃন্ময় আর্ট গ্যালারি উপর্যুপরি বেশ কয়েকটি অনলাইন এঙিবিশন করে চিত্রশিল্পীদের পাশে আছে। এ থেকে প্রাপ্ত অর্থ একদিকে যেমন শিল্পীরা পেয়েছেন এবং তেমনি অন্যদিকে কিছু অংশ দিয়ে কোভিড ভিকটিম পরিবারদের সহায়তা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আলট্রামেরিন অ্যাওয়ার্ড প্রদর্শনীর বিক্রয়কৃত শিল্পকর্ম থেকে প্রাপ্ত অর্থের কিছু অংশ কোভিড ভিকটিম পরিবারদের সহায়তায় প্রদান করা হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।