রাঙ্গুনিয়ায় ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগে আপন বড় ভাই-ভাবীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার সকালে ভূজপুর থানার শান্তিরহাট ছোট বেতুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের সিপাহিপাড়া গ্রামের উকিল আহমেদের ছেলে খোরশেদ আলম (৪৫) এবং তার স্ত্রী খালেদা বেগম (৪০)।
জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল বিকালে বসতবাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লোহার সাবল দিয়ে তারা ছোট ভাই জানে আলমকে (৪২) আঘাত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এই ঘটনায় তার স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় খোরশদ আলম ও তার স্ত্রী খালেদা বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে খোরশেদ ও তার স্ত্রী খালেদা পলাতক ছিলেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, নিহত ভিকটিম জানে আলম দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা কালীন সময় কষ্টার্জিত অর্থ তার আপন ভাই খোরশেদ আলমের কাছে পাঠাত। পরবর্তীতে জানে আলম দেশে ফিরে আসার পর তার ভাই খোরশেদ আলমের কাছে বিদেশ থেকে পাঠনো টাকা ফেরত চাইলে খোরশেদ উক্ত টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। যার কারণে তার ভাবী খালেদা বেগম ও ভাই খোরশেদ আলমের সাথে ছোটভাই জানে আলমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। জানে আলম বিরোধ পছন্দ না করার কারণে আলাদা বাড়ি করে বসবাস করেছিল। কিন্তু খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রী খালেদা বেগম সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে লোহার সাবল দিয়ে আঘাত করে জানে আলমকে হত্যা করে।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওবায়দুল ইসলাম গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জানে আলম হত্যা মামলায় তার ভাই-ভাবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।