যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তিন দিন পার হলেও চূড়ান্ত ফল কখন আসবে তা পরিষ্কার হয়নি। ভোট গণনা এখনও চলছে, মামলা চলছে আর পুরো যুক্তরাষ্ট্র অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে অস্থির হয়ে আছে। মাত্র পাঁচটি রাজ্যের ফলাফল জানা বাকি। গণনা চলা এই ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতেই আটকে আছে নির্বাচনের ফল। অধিকাংশ ভোট গোনা হয়ে যাওয়ার পরও এই রাজ্যগুলোর কোনটিতে কে জিততে চলেছেন তা বলার সময় এখনও হয়নি, এমনই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের মধ্যে। সব চোখ এখন পেনসিলভেইনিয়া, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও নেভাডার দিকে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হতাশ দেখাচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি। বুধবার সকালের পর থেকে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসে ট্রাম্প কোনো প্রমাণ ছাড়াই ফের অভিযোগ করেন, তিনি ইলেকটোরাল প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নও গ্রহণ করেননি তিনি।
ডাক যোগে আসা বহু ভোট এখনও গণনা বাকি। এসব ভোটের অধিকাংশই বাইডেনের পক্ষে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকার ভোট গণনায় এই সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে কিছুটা এগিয়েছেন। রিপাবলিকান ভোটারদের নির্বাচনের দিন ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছিলেন ট্রাম্প, অপরদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাইডেন তার সমর্থকদের ডাক যোগে আগাম ভোট দিতে বলেছিলেন। ফলে এখন ডাক যোগে আসা ভোটের গণনা চলাকালে বাইডেন পাল্লা ভারী হতে থাকলেও এর কারণ স্বীকার না করে উল্টো কারচুপির অভিযোগ তুলছেন ট্রাম্প। এক টুইটে তার অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। অপরদিকে নিজের টুইটে বাইডেন সমর্থকদের শান্ত থেকে চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন। এই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল কখন আসবে তা এখনও পরিষ্কার হয়নি, কিন্তু ভোটের ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে ট্রাম্পের জয়ের পথ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। কোনো মামলার কারণে নির্বাচনের ফল কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে যায় কিনা, অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা মার্কিন নাগরিকরা এখন এমন ভাবনায় উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন।