চুমকির বিরুদ্ধে তিন কর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষ্য

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন কর কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা হলেন চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর উপ কর-কমিশনার হারেছ আহমেদ, অফিস সহকারী মো. শওকত আলী ও কর অঞ্চল-৩ এর উচ্চমান সহকারী মো. আবুল কালাম। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ তাদের সাক্ষ্য রেকর্ড করেন।
এ মামলায় প্রদীপও আসামি। মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তার পক্ষে করা একটি আবেদন উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য থাকায় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে চুমকি পলাতক রয়েছেন।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে জানান, আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে। এর আগে এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী মো. রিয়াজউদ্দিন।
আদালতসূত্র জানায়, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ-চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের এ মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ হয়। এর আগে গত বছরের ৭ নভেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে প্রদীপ-চুমকির এ মামলা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য বদলি করা হয়। তারও আগে গত বছরের ২৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। যেখানে ২৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়।
আদালতসূত্র আরো জানায়, গত বছরের ২৩ আগস্ট দুর্নীত দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজউদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে ভোগ দখলে রেখেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রতারণার শিকার বেলাল যেভাবে প্রতারক চক্রের হোতা
পরবর্তী নিবন্ধটাইগারদের সামনে সুপার লিগের শীর্ষে উঠার হাতছানি