থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবার চাঁদে বাড়ি বানাবে চীন। চাঁদে আবাসন স্থাপনের লক্ষ্যে বেইজিংয়ের এই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের কথা গেল ২৪ এপ্রিল উঠে আসে চীনের সংবাদপত্র চায়না ডেইলির প্রতিবেদনে। ২০২০ সালে চীনের পৌরাণিক চন্দ্রদেবীর নামে রাখা যাত্রীবিহীন ‘চাংই ৫’ নামের চন্দ্রাভিযান চাঁদের পৃষ্ঠ থকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসে। এটিই প্রথম চাঁদ থেকে চীনে মাটি নিয়ে আসার ঘটনা। ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদের মাটিতে নভোচারী অবতরণের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে প্রথম চন্দ্রাভিযান পরিচালনা শুরু করে চীন। সামনের দিনগুলোয় ‘চাংই ৬, ৭ ও ৮’ মিশনের পরিকল্পনাও করছে চীন। এর মধ্যে সর্বশেষ অভিযানের লক্ষ্য হলো, দীর্ঘমেয়াদে চাঁদে মানব বসতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে চাঁদে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে যাওয়া।
চাংই ৮ মিশনে চাঁদের প্রাকৃতিক ও খনিজ উপাদানের গঠনের পাশাপাশি চন্দ্রপৃষ্ঠে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি প্রয়োগের নানা দিক নিয়ে অনুসন্ধান চালানোর কথা চীনের জাতীয় মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানী উও উইরেনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে চায়না ডেইলি। উও বলেন, দীর্ঘমেয়াদে চাঁদে বাস করার উদ্দেশ্যে আমাদের চন্দ্রপৃষ্ঠের নিজস্ব খনিজ উপাদান ব্যবহার করে সেখানে মহাকাশ স্টেশন বানাতে হবে। খবর বিডিনিউজের। চীন আগামী ৫ বছরের মধ্যেই চাঁদের মাটি ব্যবহার করে চন্দ্রঘাঁটি বানাবে বলে এপ্রিলের শুরুতে উঠে আসে দেশটির গণমাধ্যমে। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক বিশেষজ্ঞের কথা অনুসারে, ২০২৮ সাল নাগাদ চাঁদের মাটির ইট তৈরির জন্য চাংই ৮ মিশন চলাকালীন একটি রোবট নিয়োগ দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চাঁদের মাটিতে পাড়ি জমানোর এই প্রতিযোগিতা তীব্র আকার ধারণ করেছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। এপ্রিলে ২০২৪ সালের পরিকল্পিত আর্টেমিস ২ মিশনের চার নভোচারীর নাম প্রকাশ করেছে নাসা ও কানাডার মহাকাশ সংস্থা। গত কয়েক দশকের মধ্যে চাঁদে মানুষের পাড়ি জমানোর প্রথম ঘটনা হতে পারে এটি।