চা-পাহাড়ে আমরা সেদিন শিস দিয়েছি শিস
যেখানে সুর কণ্ঠ ছাড়ে পাখি অহর্নিশ।
ডাক দিয়েছেন ভাই আমিনুর রশীদ কাদেরী
নইলে অমন শিসটি মারার সুযোগ পেতাম কি?
শ্যামল শ্বাসে বুক ভরেছে, চোখ ছুঁয়েছে হ্রদ-
আয়না-জলে টুকরো মেঘে সবুজ পরিচ্ছদ
জল-পাটিতে নিঝুম ঘুমায় ওয়াগ্গাছড়ার সুখ
গুপ্ গুপ্ গুপ্ ডিঙি ঢেউয়ে ভাঙে ছবি-মুখ।
কার বুকে দেয় নাচের দোলা, কে শোনে ঢেউ-গান
দুটি পাতা একটি কুঁড়ির কচি খোরগোশ-কান?
শিমুল পলাশ দেবকাঞ্চন বাড়ায় মায়ার হাত
‘সুস্বাগতম’ বলে করে রঙিন পুষ্পপাত!
কোথায় যেন উঠল জেগে পুরাণ প্রেমের চর
ও মায়াবী মন কি হবি বিবাগী নির্ঝর?
ছুটছে ভেঙে আলুথালু অলস ছায়া-রোদ
নিচ্ছে অবাক বুনো ফুলের সুগন্ধ আমোদ।
সবুজ মায়ায় শীতল হাওয়ায় ডিগবাজি ফের খায়
কখনো নীল শান্ত জলে জলকেলিতে যায়।
এদিক ওদিক খুঁজতে গিয়ে পাতাকুড়ানি
টের পাইনি রঙ হারালো সোনার কলসটি।
হাত পা নিয়ে মাটির পুতুল ছেড়ে এলাম বন
ফিরতি ঘরে পাইনা খুঁজে কোথায় আমার মন?
নিষ্প্রাণ এই শহর বুকে করছি বসবাস
জীবন খুঁজে উঠছি বেড়ে পাথর চাপা ঘাস?