চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সর্বশেষ অগ্রগতি এবং চসিকের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার স্বার্থে কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে তা জানাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী বরাবর একটি পত্র দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, কর্পোরেশনে কর্মরত কর্মকর্তাগণ বহিরাগতদের আক্রমণ হতে সুরক্ষিত নয়। এ ঘটনার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে অপরাধীগণ এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে এবং কর্মকর্তাগণ তাদের নিরাপত্তার অভাবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে নিরুৎসাহিত হবেন।
পত্র দেয়ার বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেন সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম।
জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার চসিকের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ের চতুর্থ তলার ৪১০ নম্বর কক্ষে মো. গোলাম ইয়াজদানীকে মারধর এবং তার টেবিল ও নামফলক ভাঙচুর করে ঠিকাদাররা। এ ঘটনায় ওই রাতেই চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১০ জন ঠিকাদারের নাম উল্লেখ করে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া ঘটনায় চসিকের কোনো কর্মকর্তা–কর্মচারির ইন্ধন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে চসিক। গতকাল পর্যন্ত তদন্ত রির্পোট জমা দেয়া হয়নি।
এদিকে ঘটনার পর থেকে চসিকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এর অংশ হিসেবে একজন পিসি, একজন এপিসি ও আটজন আনসার সদস্যসহ মোট ১০ জনের একটি টিম পাঁচটি শটগান এবং ১০০ রাউন্ড কাতুর্জসহ নিয়োগ করার উদ্যোগ নেয়া হয়।