রেলের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঢুকতে দেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা প্রথম দিনের (রবিবার) মতো অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য স্টেশনে প্রবশে করার সময় তাদের বাধা দেয়া হয়। এ সময় কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে রেল স্টেশনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয় চবির ৯ শিক্ষার্থী।
গত মাসে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। এই ঘটনায় রনি ঢাকা রেল স্টেশনে গত এক সপ্তাহ ধরে রেলের বিভিন্ন অনিয়ম পরিবর্তনের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। অপরদিকে এ ঘটনায় গত রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে বিভিন্ন অনিয়ম পরিবর্তনের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন ছয় শিক্ষার্থী। প্ল্যাকার্ডে ‘আমরা দিব ফুল ভালোবাসা, আপনারা দিন একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তারা। রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবস্থানে ছিলেন তারা। সোমবার থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থীরা।
এই ব্যাপারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে আসা চবি শিক্ষার্থীরা আজাদীকে জানান, প্রথমদিনের মতো সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমরা ৯ জন স্টেশনে অবস্থান নেওয়ার জন্য আসি। কিন্তু রেল স্টেশনের নিরাপত্ত কর্মীরা আমাদের স্টেশনে প্রবেশ করতে দেয়নি। কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে বলে জানান তারা। এজন্য আমরা স্টেশনের সামনে মূল ফটকে অবস্থান নিই।
গতকাল চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে অবস্থান নেওয়া ৯ শিক্ষার্থী হলেন- যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের কাজী আশিকুর রহমান, আকবর আলী, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহবুব হাসান, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ মাহিন, প্রথম বর্ষের জিকো চাকমা ও মো. মুজাহিদদুজ্জামান এবং দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি ও ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মোহাম্মদ তৌফিক।