বনের কাঠ পুড়িয়ে, পাহাড় ও ফসলী জমির টপসয়েল কেটে মাটি সংগ্রহ করে ইট তৈরির পদ্ধতি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব ক্ষতিকর ইটভাটা না রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এর বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এই প্রথম পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা স্থাপন করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী।
ব্লক মেশিনের মাধ্যমে বালু, সিমেন্ট ও পাথরের ডাস্ট ব্যবহার করে পরিবেশ বান্ধব ইট তৈরি করা হবে এই ভাটায়। যা আগুনে পোড়াতে হয় না। গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া বদুরপাড়া এলাকায় ৩ একর জায়গায় গড়ে উঠা পরিবেশবান্ধব এ ইটভাটার উদ্বোধন করেন চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ইট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান জেএইচবি ইটভাটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, আবদুস ছাত্তার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসুল ইসলাম খাঁন, মো. হাবিবুর রহমান, আ. লীগ নেতা এম. বাবর আলী ইনু, হেলাল উদ্দীন চৌধুরী, আবু ছৈয়দ চৌধুরী, জাকের হোসেন কমরু, শওকত হোসেন ফিরোজ, হুমায়ুন কবির, এড. মো. দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান এড. খোরশেদ বিন ইছহাক, আহমদুর রহমান, খোরশেদ আলম টিটু, এসএম সায়েম, আমিন আহমদ চৌধুরী রোকন, আবদুর রহিম চৌধুরী, কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক চৌধুরী,ব্যবসায়ী আফনান ইসলাম, আবদুল নবী খান, ইয়াছিন চৌধুরী দুলাল, শরফুদ্দীন চৌধুরী কাজল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, উক্ত ভাটায় তৈরিকৃত ইট ৬ ঘণ্টা পর সারি সারি করে রেখে ১৫ দিন পর বিক্রি করা যায়। প্রতিটি ইট ১২ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি করা যাবে। প্রতি ঘণ্টায় একটি মেশিনে প্রকারভেদে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ইট তৈরি করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। একটি কারখানা তৈরি করতে ২০ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়। বর্তমান সরকার প্রতিটি সরকারি কাজে ৪০ শতাংশ পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারের লক্ষমাত্রা নিয়ে ২০২৫ সালে উন্নয়নমূলক কাজে পরিবেশবান্ধব ইট শতভাগ ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।