চট্টগ্রাম এর যতগুলি সংবাদপত্র আছে আজাদী তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্রিকা। যার সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে চট্টগ্রাম এর ঐতিহ্য, চট্টগ্রাম এর উন্নয়নে এই আজাদী বিশাল একটা ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে। যে কোনো অসঙ্গতি এই আজাদীতে সবার আগে শিরোনাম। পাহাড় কাটা, জলাবদ্ধতা, চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন সমস্যা নানাভাবে প্রচারের মাধ্যমে উচ্চমহলের সবাক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং পরবর্তীতে তা সমাধানের পথে যেতে হয়েছে। এমনকি মশক নিধন এর বলিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। সমপ্রতি সি আর বি রক্ষার প্রতিবাদে সবচেয়ে বেশি অবদান দৈনিক আজাদীর। চট্টগ্রাম এর যে কতোজন লেখক আছে তার বেশিরভাগ লেখক এরই প্রথম হাতেখড়ি আজাদীর মাধ্যমে। এতোসব আয়োজন এর পরে চট্টগ্রাম এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য সবসময় গুরুত্ব সহকারে সঠিক তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে ৬৩ বছর ধরে পাঠকের আস্তাভাজন। ছোটবেলা থেকেই আজাদীর সাথে পরিচিত। বাবার প্রথম পছন্দ ছিল আজাদী আর তখন থেকেই পড়াশুরু। দৈনিক আজাদী সকালে একবার না পড়লে কেমন জানি এক অপূর্ণতা কাজ করে। ভালোলাগা আর ভালোবাসা দিয়ে চট্টগ্রাম এর মানুষের কাছে একটি প্রিয় নাম দৈনিক আজাদী। আজ বাবা বেঁচে নেই, কিন্তু আজাদী পড়ার সেই স্মৃতিটুকু এখনো বেশ তাড়া করে। আজাদী দেখলেই মনে হয় এইতো বাবা মনে হয় আজাদী হাতে নিয়ে ইজি চেয়ারে বসে পড়ছে। শুধু তাই নয় দৈনিক আজাদী চট্টগ্রাম এর একটি ঐতিহ্য, যা কখনো কোনো প্রজন্ম মুছে ফেলতে পারবে না। যুগ থেকে যুগান্তরে এই আজাদী ঐতিহ্য বহন করে চলবে সগৌরব চট্টগ্রাম এর মাটিতে দাঁড়িয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক আজাদী চট্টগ্রাম এর স্থানীয় কাগজ। কিন্তু সংবাদপত্রের শীর্ষে। আরো ১৬৩ বছর বেঁচে থেকে এই আজাদী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের হাতে উঠে আসুক। বেঁচে থাক চট্টগ্রাম এর ঐতিহ্য হয়ে। আজাদীর জন্য ভালোবাসা।