বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অনন্য রূপকার রবীন্দ্রনাথ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে তিনি প্রায় একক প্রচেষ্টায় বিশ্বসভায় অসামান্য মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। এত বছর পরে এসেও রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করে বাঙালি সংস্কৃতি কল্পনা করা যায় না। তিনি আছেন আমাদের সুখে, দুঃখে, ভালোবাসায়, স্নেহ মমতায়। বাঙালি যতদিন বেঁচে থাকবে, রবীন্দ্রনাথও ততদিন পাথেয় হিসেবে এগিয়ে যাবেন। তিনি নিত্যদিন কোনো না কোনো ভাবে আমাদের মাঝে আসেন তার নানা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে।
গতকাল ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে দিনটি পালিত হয়েছে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।
সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ গতকাল রোববার ডিসি হিলে এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল উদ্বোধনী সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য প্রভৃতি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন গুরুকূল সঙ্গীত অঙ্গণ ও সুর সাধনা সঙ্গীত বিদ্যাপীঠ। আবৃত্তি পরিবেশনায় ছিলেন বাচিক শিল্পী রাশেদ হাসান, জাভেদ হোসেন, ফারুক তাহের ও দেবাশীষ রুদ্র। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নটরাজ নৃত্যাঙ্গন, ওডিসি এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার ও স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স।