চট্টগ্রাম নগরে ক্রমাগতভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে যানবাহন, সমপ্রসারণ হচ্ছে সড়ক। কিন্তু ব্যস্ত নগরীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়–জংশনে নেই প্রয়োজনীয় ফুটওভার ব্রিজ।
প্রয়োজনীয় ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় বৃদ্ধ, নারী–শিশু ও স্কুল শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয়। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগও অন্তহীন। শহরের পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে অনেক ফুটওভার ব্রিজ। অসচেতনতা বা নিজেদের জাগ্রত বিবেককে উল্টো করে রেখে কখনোই একটি সুস্থ বা সুষ্ঠু ভবিষ্যৎ আশা করা যায় না। আমাদের মানসিকতা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যেখান থেকে ভাল কিছু আশা করতে গেলে সচেতনতা যেমন জরুরি তেমনি আইনের বাস্তব প্রয়োগ থাকতে হবে। ফুটওভার ব্রিজ না কি জেব্রা ক্রসিং–কোনটি বেশি উপযুক্ত সেটি নিয়ে প্রশ্ন রাখলে আমি বলব, দুটিরই দরকার আছে। এমনকি যেখানে ফুটওভার ব্রিজ আছে সেখানেও জেব্রা ক্রসিং থাকতে পারে তবে তা শুধুমাত্র অসুস্থ্য কিংবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের জন্য হতে হবে।
আসলে ফুটওভার ব্রিজের ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করা খুব জটিল বিষয় নয়, কর্তৃপক্ষও ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন।
ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার শুধুমাত্র নিজের জন্যই নয়; একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং সচেতন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পেতে আমাদেরও আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। এরই একটি বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে যেখানে ফুটওভার ব্রিজ আছে সেখানে ফুটওভার ব্রিজ দিয়েই রাস্তা পার হওয়া। জানা যায়, নগরীর শাহ্ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক, বহদ্দারহাট মোড়, মুরাদপুর, ষোলশহর, ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, লালখান বাজার, টাইগার পাস, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, নিমতলা বিশ্বরোড, অলংকার, হালিশহর, বড়পোল, কাস্টমস, সল্টগোলা ক্রসিং, সিমেন্ট ক্রসিং মোড়, কাঠগড়সহ বিভিন্ন মোড়ে প্রতিনিয়তই যানবাহন ও পথচারীর চাপ থাকে। যে কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের। মোড়গুলোয় ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করলে সাধারণ মানুষের বড়ই উপকার হবে। এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। নিরাপদ সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণই সমাধান।