চট্টগ্রামবাসীর সুখে-দুঃখে নিজেকে জড়িয়ে রাখব

মিত্র বাংলাদেশের সংবর্ধনায় আজাদী সম্পাদক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৪ মার্চ, ২০২২ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামবাসীর যেকোনো সুখে-দুঃখে নিজেকে জড়িয়ে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। তিনি বলেন, চট্টগ্রামবাসীর সঙ্গে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
অনেকে দৈনিক আজাদী ঢাকা থেকে বের না করার কারণ জানতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা প্রশ্ন করেন তাদের বলি, ঢাকা থেকে বেরুলে সেটা জাতীয় এবং ঢাকার বাইরে হলে সেটা বিজাতীয় বা মফস্বলের কাগজ হয়ে যায়। জাতীয় ও বিজাতীয় কোনোটির দরকার নাই আমাদের। আসলে আমার বাবা যেটা চেয়েছিলেন সেটা আমিও চাই। আমার বাবা চট্টগ্রামের জন্য কাগজ বের করেছিলেন। আজাদী চট্টগ্রামের কাগজ। চট্টগ্রামের কাগজ হয়েই থাকবে। কখনো ঢাকা থেকে বের করার কোনো চেষ্টা করব না। আশা করি আমার ছেলেরাও করবে না। গতকাল সন্ধ্যায় দৈনিক আজাদী চত্বরে অনুষ্ঠিত ‘উন্মুক্ত সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর একুশে পদক পাওয়ায় বহুমাত্রিক সমপ্রীতির সংগঠন মিত্র বাংলাদেশ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। তাদের ভাষায়, আজাদী সম্পাদকের জন্য ‘দিলখোলা ভালোবাসা’। অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে একুশটি আতশবাজি ফুটানো হয়। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রেস মালিক সমিতি আজাদী সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫বি৪ এর সাবেক গভর্নর লায়ন কামরুন মালেক, সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি শাহাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন মনসুর।
বহুমাত্রিক সমপ্রীতির সংগঠন মিত্র বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ুবের সভাপতিত্বে অভিনন্দনপত্র পাঠ করেন দিদারুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইকবাল হাসান, চট্টগ্রাম প্রেস মালিক সমিতির সাবেক সহসভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, হোটেল কঙ টুডের চেয়ারম্যান জি কে লালা, লায়ন নাসিমুল হাসান জুয়েল, লায়ন আবদুর রব শাহীন ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহাব উদ্দিন ও বেদারুল ইসলাম।
আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, একুশ আমার অহংকার, একুশ মানে মাথা নত না করা। আমি এ স্লোগানে বিশ্বাস করি। আমার বাবা ১৯৫২ সালে মাহবুব উল আলম চৌধুরীর রচিত ভাষা আন্দোলনের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ ছাপিয়েছিলেন। আমার বাবা কিন্তু জানতেন এ কবিতা ওই সময়ে ছাপানো মানে তৎকালীন পাকিস্তানি সরকারের চোখে দেশদ্রোহিতা। তারপরও কবিতাটি ছাপিয়েছেন। মানে বাবা মাথা নত করেননি।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে একমাত্র জাতি বাঙালি, যারা ভাষার জন্য বুকের রক্ত দিয়েছে। ভাষার জন্য প্রাণ দেয়ার এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে আর নাই। বাংলা ভাষা আমাদের হৃদয়ের ভাষা, মায়ের ভাষা। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিনি তার পেশা ছেড়ে প্রেস দিয়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন, লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়া সমাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রেস ও লাইব্রেরির খুব প্রয়োজন। সেজন্য তিনি প্রথমে প্রেস এবং পরে কোহিনূর লাইব্রেরি নামে একটি লাইব্রেরি করেন।
আজাদী সম্পাদক বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাই যেখানে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য সকলকে নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সকলে চায় অন্যরা পরিবর্তন হোক, নিজে পরিবর্তন হতে চায় না। আসলে পরিবর্তনটা নিজেকে দিয়ে শুরু করতে হবে। যদি নিজেকে দিয়ে শুরু না করি তাহলে আরেকজনকে বলব কি করে। যদি নিজের পরিবারকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে পাড়া-পড়শি যারা আছে তাদের বলতে পারব। পাড়া-পড়শি থেকে সেটা ক্রমান্বয়ে শহরে এবং এক পর্যায়ে পুরো বাংলাদেশে তা ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। এবার সরকার আমাকে একুশে পদকে ভূষিত করল। এটা কিন্তু কম গৌরবের না। কারণ সারা দেশ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য পত্রিকা বের হয়। এর মধ্যে শুধু ঢাকা থেকে প্রায় দুইশ দৈনিক পত্রিকা বের হয়।
তিনি আরো বলেন, সবাই বলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু আমি বলি, যুগ যুগান্তরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। হাজার বছর বললে তো এমন বোঝায়, হাজার বছরের আগে এ ধরনের বাঙালি থাকতেও পারেন আবার নাও পারেন।
এম এ মালেক বলেন, একুশে পদক পাওয়ায় আমি মারা যাওয়ার পর আমার কফিনের উপর দেশের লাল-সবুজের পতাকা স্থান পাবে। এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় পাওনা। তিনি বলেন, জন্মেছি যখন মারা যেতে হবে। মনে রাখতে হবে পৃথিবীর জন্য কেউ অত্যাবশ্যকীয় নন। যতদিন থাকব ততদিন ভালো কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের জীবনটাকে যদি একটা নোট বইয়ের মতো ধরে নিই তাহলে প্রথম এবং শেষ পাতাটা লিখিত হয়ে গেছে। যেদিন জন্ম সেদিন প্রথম পাতা লেখা হয়েছে। যদি উপরওয়ালাকে বিশ্বাস করি তাহলে মৃত্যুর দিন মানে শেষ পাতাও লিখিত হয়েছে। মধ্যখানে সব পাতা কিন্তু খালি আছে। সে পাতাগুলো ভালো নাকি মন্দ কাজে ভরাট করব নিজেদের ওপর নির্ভর করছে। উপরওয়ালাও কিন্তু আমাদের সবকিছু লিপিবদ্ধ করছেন। চূড়ান্ত বিচারের দিন কথাবার্তা থেকে শুরু করে কাজ-কর্ম সবকিছুর চুলচেরা বিচার হবে।
আজাদী সম্পাদক বলেন, সংবাদপত্রকে অনেকে সমাজের দর্পণ বলেন। অনেকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভও বলেন। অনেকে বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার কথা বলেন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি সংবাদটা হবে সত্যনিষ্ট। তিনি বলেন, সংবাদ শব্দটা বিশ্লেষণ করলে ‘সং’ ও ‘বাদ’ পাব। মানুষ যখন কোনো কিছু ঘটায় সেটাকে বস্তুনিষ্টভাবে সংবাদে প্রতিফলন ঘটানো-ই হচ্ছে সংবাদ। অর্থাৎ সং-টাকে বাদ দিতে হবে।
তিনি বলেন, একটা সংবাদপত্র লোকের কাছে আস্থাভাজন কখন হবে? কারণ হাজার হাজার পত্রিকা ও হাজার হাজার পাঠক আছেন। পত্রিকার কাছে কী চান তার প্রত্যাশা থাকে পাঠক সমাজের। হাজার হাজার লোকের প্রত্যাশা হাজার রকমের। সে প্রত্যাশাগুলোর মধ্যে ৭০-৮০ ভাগ যে পত্রিকা পূরণ করতে পারবে পাঠক তাদের সাথে থাকবেন। আমি এবং আজাদী পরিবারের যারা আছেন তারা সবাই চেষ্টা করেন জনগণের যে প্রত্যাশা তার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পূরণ করার।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে আঞ্চলিক ভাষায় শিরোনাম দিয়েছি। কারণ আমরা চাই জনগণের কাছে থাকার জন্য। আমার বাবা যখন আজাদী বের করেন তখন বাইরে থেকে কাউকে নিয়ে আসেননি, চট্টগ্রামের লোক দিয়েই বের করেছেন। অন্যরা বাইরে থেকে সম্পাদক এনেছেন। হ্যাঁ এটা ঠিক, যারা নতুন আসবে তারা চেষ্টা করবে পাঠকের কাছে ভালোভাবে উপস্থাপন করার জন্য। এটা দোষের কিছু না। কিন্তু আমরা সবসময় চেষ্টা করি চট্টগ্রামের মানুষ দিয়ে করার জন্য। কারণ চট্টগ্রামের একজন লোক চট্টগ্রামকে যেভাবে ধারণ করবেন সেটা অন্য কেউ পারবেন না। বাইরে থেকে একজনকে ধরে আনলে তিনি চট্টগ্রামবাসীর মনের কথা বলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামবাসী যারা দেশের বাইরে থাকেন তাদের পড়ার সুবিধার্থে আমরা কিন্তু দৈনিক আজাদীর অনলাইন ভার্সন করি। ই-পেপারের মাধ্যমে তারা ছাপা পত্রিকার হুবহু পড়তে পারেন। প্রবাসে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর অনেকেই আমাদের জানিয়েছেন, ই-ভার্সনে ক্লিক করে তারা সকাল শুরু করেন। প্রতিদিন কয়েক লাখ লোক কিন্তু ই-পেপার পড়ছেন।
লায়ন কামরুন মালেক বলেন, আমরা দেশকে ভালোবাসি। তাই সত্যিকার অর্থে একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশ চাই। তিনি বলেন, যে কোনো ভালো কাজ ঘর থেকে শুরু করতে হবে। আমি আমার সন্তানকে যদি ভালো শিক্ষা দিতে না পারি তাহলে বাইরের মানুষকে কিছু বলতে পারব না। আমরা দেশকে ভালোবাসব। আমাদের পাশে যে কম সৌভাগ্যবান লোকগুলো আছে তাদের ভালোবাসব। লায়নিজমের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা ও মানবতামূলক কাজ করছেন জানিয়ে বলেন, লায়ন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা সম্পূর্ণ লায়নদের অর্থ দিয়ে মানুষের সেবা করি। আল্লাহ আমাদের কিছুটা সৌভাগ্যবান করে পাঠিয়েছেন। তাই যারা কম সৌভাগ্যবান আছেন তাদের জন্য কিছু করে যেতে চাই। আমরা মাদকমুক্ত সমাজ চাই। আমরা চাই নারী নির্যাতন বন্ধ হোক। আমরা চাই সবাই মানুষের পাশে থাকুক।
কামরুন মালেক বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করলেই সত্যিকারের মানুষ হওয়া যায় না। জনস্রোতের মতো জনসংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু মানুষ বাড়ছে না। আমরা সত্যিকারের মানুষ চাই। সে রকম মানুষ পেতে হলে ঘর থেকে শুরু করতে হবে। বাচ্চাদের ঠিকমতো মানুষ করতে হবে। বড়দের সম্মান করতে হবে। আমার পাশের লোকটা যেন না খেয়ে না থাকে। অন্তত একটা লোককে যেন সাহায্য করতে পারি।
সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এম এ মালেক ব্যক্তিগতভাবে সমাজের জন্য যেভাবে কাজ করেছেন এবং দৈনিক আজাদীর মাধ্যমে দেশের জন্য কাজ করেছেন, আজাদী পত্রিকা স্বাধীনতাপূর্বে এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশের জন্য এবং জনমত সৃষ্টিতে ভূমিকা এবং অবদান রেখেছে সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ প্রাপ্তি খুব বড় বলে অন্তত আমি মনে করি না। এ পুরস্কারের মাধ্যমে তিনি খুব বেশি উপকৃত হয়েছেন তা-ও কিন্তু না। কিন্তু আমরা চট্টগ্রামবাসী সম্মানিত হয়েছি, সমাদৃত হয়েছি এবং উপকৃত হয়েছি।
সাবেক মেয়র বলেন, মালেক ভাই থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার ও জানার আছে। আজকের সংবর্ধনা তখনি অর্থবহ যখন এ সংবর্ধনায় আমরা যারা উপস্থিত আছি তারা যদি তার জীবনী ও তার কাজ থেকে কিছু শিখে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি।
তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা যেমন আছে তেমনি দায়িত্বও আছে। আমরা প্রত্যাশার কথা মনে রাখি কিন্তু দায়িত্বের কথা ভুলে যাই। আমরা প্রায় পরচর্চা ও পরনিন্দা করি। আত্মসমালোচনার যথেষ্ট ঘাটতি আছে আমাদের। অথচ আত্মসমালোচনা করা উচিত। সবাই যদি নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি তাহলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম এগিয়ে যাওয়া মানে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া। এটা কোনো আঞ্চলিকতা না, বাস্তবতা। চট্টগ্রামের অনেক সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা আছে। সমাজের দর্পণ হিসেবে আজাদী এসব সমস্যা চিহ্নিত করতে পারে এবং সমাধানের ক্ষেত্রে জনমত তৈরি করতে পারে। সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা, চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো চিহ্নিত করে অপসারণের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।
শৈবাল দাশ সুমন বলেন, সাদা মনের ও মানবিক মানুষ এম এ মালেক। এমন মানবিক মানুষ আছে বলেই মানুষে-মানুষে ভালোবাসার মেলবন্ধন ঘটে। এমন মানুষ পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন আমরা শিখব এবং নিজেরাও মানবিক হয়ে উঠব।
শাহাব উদ্দিন বলেন, এম এ মালেক আমার আইডল ব্যক্তিত্ব। বিজিএমইএর দায়িত্ব পালনকালে গার্মেন্টস সেক্টরের নানা সমস্যা আজাদীর মাধ্যমে তুলে ধরেছি।
আবু সুফিয়ান বলেন, আমরা সুন্দর সুন্দর কথা বলি, কিন্তু অনুসরণ করি না। কিন্তু মালেক ভাইকে দেখেছি মেনে চলেন। তিনি সাহসী মানুষ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যখন সবকিছু স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন আজাদী পত্রিকায় ‘বঙ্গবন্ধু’ লিখেছিলেন। কিন্তু অনেক পত্রিকা শুধু শেখ মুজিবুর রহমান লিখত। তিনি বলেন, ব্যক্তি এম এ মালেক না, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তাকে অনুসরণ করলে চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হবেন।
ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, এম এ মালেক সমাজের শিক্ষক। চট্টগ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বলে দৈনিক আজাদী। আজাদী সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি চট্টগ্রামের সকল মানুষের, সকল সম্প্রদায়ের, সকল গুণীজনের অবিভাবক।
মোসলেহ উদ্দিন মনসুর বলেন, শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা বাংলাদেশের পথিকৃৎ সাংবাদিক এম এ মালেক।
লায়ন আইয়ুব বলেন, শুধু এম এ মালেককে সম্মানিত করিনি, নিজেরাই সম্মানিত হয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে বুস্টার ডোজের বিশেষ ক্যাম্পেইন কাল থেকে
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬