নির্বাচিত হলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের পাতায়া বিচ আয়তনে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের চেয়ে অনেক ছোট। কিন্তু সুযোগ-সুবিধায় এগিয়ে পাতায়া। সেখানে ফাইভ স্টার হোটেলসহ পর্যটক আকর্ষণের মত সবকিছু রয়েছে। অথচ পতেঙ্গায় তেমন কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে পর্যটকদের জন্য আরো দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করব।
গতকাল শনিবার বিকেলে ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে পথসভায় এ কথা বলেন ডা. শাহাদাত। এদিন তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে লালদিয়ার চর, ১৫নং নিজাম মার্কেট, ফুলচড়ি পাড়া, নাজিরপাড়া, চড়িহালদা, মাইজপাড়া হয়ে চৌধুরী পাড়া পর্যন্ত গণসংযোগ করেন। এরপর সন্ধ্যায় ওয়ার্ড কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এর আগে সকাল ১১টায় নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে মাস্ক বিতরণ করেন ডা. শাহাদাত। পরে হালিশহর বি ব্লক এলাকায় মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত করোনার সুরক্ষা সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এছাড়া ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাশেমের বাসভবনে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।
এদিকে পতেঙ্গা পথসভায় ডা. শাহাদাত বলেন, নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে একটি সুন্দর স্বাস্থ্যসম্মত পর্যটন নগরী এবং পরিচ্ছন্ন আধুনিক বাণিজ্য নগরী হিসাবে প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিব। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আশপাশের এলাকার যাদের ভূমি অধিগ্রহণ করে বন্দর গড়ে ওঠেছে, তারা বন্দরে চাকুরি পায় না। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় দুই হাজার পদ খালি রয়েছে। এতে বন্দর এলাকার মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. শাহাদাত বলেন, ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। বিগত নির্বাচনে কোনো নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় নাই। চটগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০ লক্ষাধিক নারী ভোটার রয়েছে। তারা আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোট সেন্টারে গিয়ে ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় বিরাজ করছে। তাই আসন্ন চসিক নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার্থে ভোটারদের ভোট সেন্টারে যেতে উদ্বুদ্ধ করুন এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
পথসভায় নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রামবাসী বিএনপির দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। বিএনপি চসিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিজয়ী হওয়ার জন্য। চট্টগ্রামবাসীর ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সকল ভেদাভেদ ভুলে সাহস নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিতে হবে। তবেই কাক্সিখত বিজয় অর্জন সম্ভব হবে।
গণসংযোগে অংশ নেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক সহসভাপতি জামাল আহমেদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসেম, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, সাবেক কমিশনার মো. ইসমাইল, মাহমুদ আলম পান্না, মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, কাউন্সিলর প্রার্থী ডা. নুরুল আবছার, মো. শাহাবউদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, কাউন্সিলর প্রার্থী জেসমিনা খানম, কামাল পাশা নিজামী, বেলায়েত হোসেন বুলু, ইকবাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ সেলিম, আখি সুলতানা, জিয়াউর রহমান জিয়া, মো. ইলিয়াছ, শফি মেম্বার, মোশারফ জামাল, আনোয়ার হোসেন আরজু, সাইফুল আলম, মো. শফিউল্লাহ, মো. সোলায়মান, আবদুস সত্তার কন্ট্রাক্ট্রর, আবু জাফর, মনির আহমেদ, আলমগীর কোম্পানি, নাজমুল হুদা চৌধুরী নাজিম, জানে আলম কোম্পানি, মো. ইসলাম, মো. ইলিয়াস, খোরশেদ আলম, আনোয়ার হোসেন ও সেলিম রেজা।