চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের মতো মহেশখালের খুব কাছে অবস্থিত হালিশহর কে-এল ব্লক আবাসিক এলাকাটি বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ কর্মসূচীর আওতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিগত ২০২০ সনে এ এলাকার ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কার ও প্রশস্তকরণ, রাস্তার উচ্চতা বৃদ্ধির কাজ হাতে নেওয়া হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে রড, সিমেন্টের ব্যবহার দেখে আপাতদৃষ্টিতে খুব ভালোমানের পূর্তকাজ সম্পন্ন হচ্ছিল বলে ধারণা করা যায়। অন্যদিকে, মাটি খননের কাজ করতে গিয়ে বহু ভবনের সীমানা প্রাচীরে মারাত্মক ফাটলসহ আরো কিছু জটিলতাও দেখা দেয়।
যাইহোক, এলাকার বিভিন্ন স্থানে ড্রেন ও রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলেও এল-ব্লকস্থ সিলভার বেলস স্কুলের দক্ষিণ পাশের কিছু জায়গায় ড্রেন সংস্কার কাজ মাঝপথে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। আংশিক নির্মিত ড্রেনটি গভীরতায় ও প্রশস্ততায় প্রায় ছয় ফুট। এতো বিপুল আয়তনের ড্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে ছাদবিহীন খোলা অবস্থায় থাকায় বাসস্থান থেকে রাস্তায় যাতায়াতে এলাকাবাসী ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। নির্মাণ কাজের সুবিধার জন্য ড্রেনটিতে বাঁধ দিয়ে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে কয়েক মাস ধরে। মশার বংশবিস্তারের জন্য এই বিপুলায়তন বদ্ধ জলাশয় ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে, আজ ৬ বৈশাখ এই বিশাল ড্রেনটির মাধ্যমে মহেশখালের সাথে এলাকার ড্রেনেজ সিস্টেমের সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে মর্মে জানা যায়। বর্ষার আগে এই ড্রেনের নির্মাণ, পানিপ্রবাহ ব্যবস্থাপনা ও পার্শ্বস্থ রাস্তার উচ্চতা বৃদ্ধিকরণ অতীব জরুরি প্রয়োজন। নয়তো, এই অসমাপ্ত ড্রেনের কারণে এলাকায় জোয়ার ও বৃষ্টির পানি মহেশখালে প্রবাহিত হতে পারবে না। বরং পূর্ববর্তী বছরগুলোর চেয়ে আরও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশংকা রয়েছে। এ এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক এই ড্রেন ও রাস্তার বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ত্বরিত উদ্যোগ কামনা করছি।
আবু নাঈম, ব্লক-এল, রোড-১, লেন-২, হালিশহর হাউজিং এস্টেট, চট্টগ্রাম।