ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল। আজ ভোর ৭টায় প্রথমে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে সুবর্ণ এক্সপ্রেস। এরপর একে একে অন্যান্য সব ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাবে। গতকাল সব ট্রেনের ৯৮ শতাংশ টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী। বৃহস্পতিবার ট্রেন ছাড়তে ছাড়তে একশ ভাগ (পঞ্চাশ শতাংশের) টিকিট বিক্রি শেষ হবে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৩০ জুন থেকে সারাদেশে রেলওয়ের সকল ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ ৮ দিনের জন্য শিথিল করেছে। এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে আন্ত:নগর ও মেইল-কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। চট্টগ্রাম থেকে ঈদের আগের দিন ২০ জুলাই পর্যন্ত সকল ট্রেন চলাচল করবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসনে। ২১ জুলাই ঈদের দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। আবার ঈদের পর দিন ২২ জুলাই একদিন ট্রেন চলবে।
আজ থেকে যেসব আন্ত:নগর ট্রেন চলবে সেগুলো হলো-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এঙপ্রেস, মহানগর গোধুলী/ তূর্ণ ও মহানগর প্রভাতী/ তুর্ণা, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে মেঘনা এঙপ্রেঙ, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা/ উদয়ন এঙপ্রেস, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এঙপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এঙপ্রেস পাহাড়িকা/ উদয়ন এঙপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এঙপ্রেস।
অপরদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা/ চট্টগ্রাম মেইল ও কর্ণফুলী কমিউটার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে সাগরিকা কমিউটার, চট্টগ্রাম-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব রুটে ময়মনসিংহ এঙপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে। যাত্রার দিনসহ ৫ দিন আগে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট একসঙ্গে অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। কাউন্টার হতে আন্ত:নগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। ঈদ উপলক্ষে আন্ত:নগর ট্রেনে সব ধরনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণ ক্ষমতার শতকরা ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে অনলাইনে।