আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৫/৭ জন আহত হয়। তবে কারোর অবস্থা গুরুতর ছিল না। গতকাল সকাল ১১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। এরপরও বেলা সোয়া ১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে জড়ানো একটি পক্ষ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম এবং অপর পক্ষ সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিকের অনুসারী। সংঘর্ষের পর নিজেদের বিরোধ আড়াল করতে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করে কলেজ ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। তারা ঘটনার পরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানায়, একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমে পড়ে দুই ছাত্র। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম আজাদীকে বলেন, আমার সঙ্গে রাজনীতি করার কারণে সোমবার রাতে সাদিব নামে একটা ছেলেকে মিজান ও হাবিব নামে দুজন মারধর করে। যারা মারধর করে তারা সুভাষ মল্লিকের সঙ্গে থাকে। তাই সাদিব সুভাষ মল্লিকের কাছে তার বিচার দিতে যায়। কেন বিচার দিতে গেল সেজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও সাদিবকে মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে ঝামেলার শুরু। মাহমুদুল করিম অভিযোগ করেন, ওরা বহিরাগতদের এনে ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। তাদের হাতে কিরিচ ছিল। সামগ্রিক ঘটনার জন্য সুভাষ মল্লিককে দায়ী করেন তিনি।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ আজাদীকে বলেন, ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। আমার এক ভাগ্নে অসুস্থ। তাকে নিয়ে আইসিইউতে দৌড়াদৌড়ির মধ্যে ছিলাম। ক্যাম্পাসের সিনিয়ররাও কাপ্তাই ট্যুরে গেছে। এ সুযোগে তারা ক্যাম্পাসে আতংক সৃষ্টি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আজকের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের ছেলেদের উপর অতর্কিত হামলা করেছে। তারা অস্ত্র শো করেছে। পরে আমাদের ছেলেরা জড়ো হয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটার জন্য মাহমুদুল করিমকে দায়ী করেন তিনি।
কিন্তু মাহমুদুলের দাবি হচ্ছে, তার সঙ্গে থাকা ছেলেকে মারধরের বিচার দিতে গেলে উল্টো হামলা করে। এ বিষয়ে সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, আমি তো ক্যাম্পাসেই ছিলাম না। আমাকে কীভাবে বিচার দেবে? তাছাড়া আমাকে ফোন করেও তো কিছু বলেনি।
ঘটনার পরপর চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।