নগরীর চকবাজার থানাধীন পোস্ট অফিসের বিপরীতের প্রবাহ কোচিং সেন্টার উচ্ছেদ করা হয়েছে। লিজের শর্ত ভঙ্গ করে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ পরিচালনা করায় গতকাল অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। এতে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের ১০ দশমিক ৫৪ শতক সরকারি অর্পিত (ভিপি) সম্পদ উদ্ধার হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভিপি মামলা নং–২৪/৬৫–৬৬ মূলে ইমামগঞ্জ মৌজার বিএস ১৯৩ নং খতিয়ানভুক্ত ৬২৯ নং দাগের ৯ (নয়) শতক জায়গা (উচ্ছেদকৃত) আজিজুর রহমান ইসলামিক স্টুডেন্টস রিসার্চ ইনস্টিটিউট নামের প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেয়া হয়। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লিজ গ্রহীতা লিজের শর্ত ভঙ্গ করে প্রবাহ কোচিং সেন্টার নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। এ জন্য ভিপি লিজটি বাতিল করা হয়েছে এবং কোচিং সেন্টারটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের ফলে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের ১০ দশমিক ৫৪ শতক সরকারি অর্পিত সম্পদ উদ্ধার হয়েছে।
কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নামে সরকারের উক্ত সম্পত্তিতে আসবাবপত্রের দোকানও পরিচালিত হচ্ছিল জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দরজা মেলা নামের উক্ত আসবাবপত্রের দোকানও উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রবাহ কোচিং সেন্টার বিষয়ে তিনি বলেন, অর্পিত সম্পত্তি অবৈধবাবে দখলে রেখে প্রবাহ কোচিং সেন্টার প্রায় আট বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, মোট দশটি রুমে পরিচালিত হচ্ছিল প্রবাহ কোচিং সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানের জমজমাট কোচিং ব্যবসা। উচ্ছেদের পর রুমগুলোতে থাকা সকল মালামাল অপসারণ করা হয়েছে। প্রায় ২৫০ টি টেবিল–বেঞ্চ, ৮ টি এসি, ২ টি ফ্রিজ, আলমিরাসহ সংশ্লিষ্ট মালামাল প্রবাহ কোচিং সেন্টারের হিসাব কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইনকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনসূত্র আরো জানায়, প্রবাহ কোচিং সেন্টারের কাগজপত্র ঘাটলে দেখা যায়, কোচিং সেন্টারটির মূল মালিক হোসাইন আল হেশাম মো. জাবেদ। তিনি সাতকানিয়র ঢেমশার মাবুদ মাস্টারের বাড়ির বাসিন্দা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারকৃত সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের ভিপি শাখার প্রতিনিধিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে সিএমপি ও চকবাজার থানা পুলিশের টিম, পিডিবি ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সহায়তা করেন।











