আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় দুই দিন ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। আজ রবিবার ও আগামীকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সকল ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। গতকাল শনিবার চবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদের স্বাক্ষরিত এক অতি জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ যে কোনো সময় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। এ জন্য রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস ও সোমবার পূর্ব নির্ধারিত সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হলো। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার প্রাক–প্রস্তুতি ও ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সকল ক্লাস–পরীক্ষা, সেমিনারসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ১৫ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
এক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হবে কিনা সেটা জানা যাবে আজ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার। তিনি আজাদীকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। কাল (রবিবার) পরিস্থিতি বুঝে ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে ভারী বর্ষণের ফলে চবি পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার সকাল থেকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বিভিন্ন কলোনি ও কটেজে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সচেতনতামূলক মাইকিং করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ শক্তিশালী রুপ ধারণ করছে। যেকোনো সময় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের হলে যেকোনো সময় চবিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে ও কলোনীতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণের অনুরোধ করা হচ্ছে।