অনেক রাত! শহরটা গেছে ঘুমিয়ে!
জেগে আছে কেবল আমার তৃষিত চোখ!
একাকীত্বের ঘ্রাণ শুধু আমায় ঘিরে!
আজ আকাশের মন বিষণ্ন !
বড্ড অভিমানী চাঁদের দেখা নেই বলে।
হিম হিম কনকনে শীতে কিংবা
কোন এক তপ্ত দুপুরের উষ্ণতায় ছায়াবীথি তলে,
জোনাকি মায়াবী আলোয়,
এই মন তোমাকে খুঁজে, মন ভরে দেখার নেশায়!
কেমন এক অদ্ভুত নেশা হয়েছে জানো?
সে তুমি কোনোদিনই জানবে না হয়ত।
চোখের আড়াল হলেই অতৃপ্ত দুচোখে ভয়ানক কঠিন যন্ত্রণা!
আমি দাঁড়িয়ে কেবল পৌরাণিক ধ্বংসাবশেষের
মত স্মৃতির চাদর গায়ে দিয়ে।
মনে পড়ে তোমার আমার খুঁনসুটি,
তুচ্ছ কারণে কথা কাটাকাটি?
হাজারটা মতের অমিল!
না! নেই কোনো স্বপ্ন, চাই না প্রতিশ্রুতি,
না কোনো অজুহাত! থাকুক কিছু অপূর্ণতা।
দিন শেষে ঠিকই অপেক্ষায়!
সহস্র মানুষের ভিড়ে খুঁজে চলে
এই পৃথিবীর চেনা অচেনা গলিতে!
আমি খুঁজি ঝুপ করে নামা সন্ধ্যায়,
জবুথবু বেশে, নির্ঘুম শেষ রাত্রিতে!
অঝোর ধারায় তুমুল বৃষ্টিতে!
স্রোতস্বিনী নদীর জলে,কখনও বা
বুনোঘাসে জমা শিশিরে!
অচেনা কোনো চৈত্রের দহনে!
বইয়ের ভাঁজে শুকনো গোলাপে!
রাক্ষুসে ব্যস্ততায়,
দম আটকানো গুমোট এই ধরায়।