নগরবাসীর উপর কোনো ধরনের বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আগের স্থাপনার বর্ধিত অংশের এবং নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা হলে সেক্ষেত্রে নতুন কর ধার্য করা হবে।
গতকাল সোমবার সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ সাক্ষাতে এলে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মেয়র সমিতির নেতৃবৃন্দকে গৃহকর নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে মন্তব্য করে বলেন, এদের সম্পর্কে নগরবাসীকে সচেতন করার ব্যাপারে আপনাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
মেয়র গৃহকর প্রসঙ্গে বলেন, ২০০৯ সালে কর মূল্যায়নের উপর এতদিন করদাতারা কর দিয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের পৌরকর মূল্যায়নের উপর কর আদায়ের জন্য চসিকের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তিনি এই মূল্যায়নে কোনো অসঙ্গতি থাকলে পূর্বের বকেয়া পরিশোধ করে আপিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার আহ্বান জানান। নগরবাসী আপিল ফরম অনলাইনে, সার্কেল অফিস, ওয়ার্ড অফিস থেকে সংগ্রহ করে যথাযথভাবে আপিল করতে পারবেন বলেও জানান মেয়র।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চান্দগাঁও আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. ইসমাইল, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল কাদের, আলাউদ্দিন ইউসুফ, তৌফিক হোসেন, আবু জাফর, আবু বক্কর চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
সমিতির নেতৃবৃন্দের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯নং রোডে ভাঙা রাস্তায় প্যাঁচওয়াক কাজ, সমিতির অর্থায়নে দুটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণের অনুমতি, নালা থেকে মাটি উত্তোলন, কালভার্ট উঁচুকরণ, ১ ও ২ নং রোডের সংস্কার এবং এলইডি বাতি স্থাপনের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।