উন্নত জীবনের আশায় প্রবল ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। অনেকেরই ইউরোপে ঢোকার স্বপ্ন উত্তাল সমুদ্রে ডুবেই শেষ হয়। প্রায়ই খবরের শিরোনামে দেখা যায় শত শত মানুষ সাগরে ডুবে মারা গেছেন। আর বছর শেষে এই সংখ্যাটা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়। খবর বাংলানিউজের।
জাতিসংঘ বলছে, ২০২১ সালে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। শুক্রবার জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শরণার্থী, অভিবাসনপ্রত্যাশী ও ইউরোপে যাওয়ার পথে অন্য শরণার্থীদের মৃত্যুর মিছিল থামাতে আশু পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার জেনেভায় সংবাদিকদের ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র শাবিয়া মান্টো বলেন, ২০২১ সালে ১ হাজার ৯২৪ জন মধ্য ও পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের নৌপথে নিখোঁজ বা মারা যান। কানারি দ্বীপপুঞ্জ হয়ে উত্তর আফ্রিকার আরেকটি নৌপথে মারা গেছেন আরও ১ হাজার ১৫৩ জন। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক পাড়ি দিতে গিয়ে ৩ হাজার ৭৭ জন নিখোঁজ হন, যা ২০২০ সালে ছিল ১ হাজার ৫৪৪ জনের বেশি।
ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে এই নৌপথকে ‘ভীষণ বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছে। প্রতিবছরই মারা যান অনেকে। তারপরও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, যুদ্ধ ও নিশ্চিত জীবনের আশায় অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা থামছেই না, বরং বাড়ছে।