বিএনপির ভাইস–চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, গণআন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না তবে অনেক সময় দীর্ঘায়িত হয়। এই দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ হচ্ছে– সরকার আন্দোলন দমন করার জন্য পুলিশ, র্যাব, দুদকসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থাকে বিএনপিকে দমন করার কাজে ন্যাক্কারজনকভারে ব্যবহার করছে। যার কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রীয় জুলুমের শিকার হচ্ছে। তবে দমন–পীড়ন চালিয়ে অতীতে কোনো স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে পারে নাই, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারও পারবে না। সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। বিএনপি আরো বেশি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কবল থেকে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে ডান–বাম ও মধ্যপন্থী দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দলকে একই মোহনায় মিলিত হয়ে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
গতকাল নগরের হালিশহরে একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম–৩ সন্দ্বীপ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নোমান। সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা স্বৈরাচারের রক্ত চক্ষুকে ভয় করি না। এদেশ কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন দেশে আমাদের সকলের সব কিছুতে সমান অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব। স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আমরা অবশ্যই করবো।
বিএনপি নেতা মনির তালুকদার ও জমসিদুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, জাহেদুল করিম কচি, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপ্টি, আহছানুল কবির, রিপন তালুকদার, আলমগীর হোসাইন ঠাকুর, আজমত আলী বাহাদুর, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল ওহাব কবির, আশরাফ উদ্দীন জানি, মাষ্টার আবুল কাশেম, আবু সুফিয়ান সুজন, শফিকুল আলম, আকবর ভূইয়া।