চট্টগ্রামে করোনার গণ টিকাদান ফের শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও উপজেলা পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার একইসাথে টিকাদান শুরু হয়। তবে টিকাদান শুরুর প্রথম দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা গ্রহীতাদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকার অন্য কেন্দ্রগুলোতেও দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। তবে এসএমএস ছাড়া এবং নিবন্ধিত কেন্দ্রের পরিবর্তে অন্য কেন্দ্রে টিকা নিতে আসায় অনেককে টিকা না নিয়ে ফিরতে হয়েছে। নিবন্ধন হলেও মোবাইলে এসএমএস ছাড়া টিকা নেওয়া যাবে না এবং নিবন্ধিত কেন্দ্রের পরিবর্তে অন্য কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার সুযোগ নেই মর্মে আগেই জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এই নির্দেশনা না মেনে যারা কেন্দ্রে চলে আসেন, তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। প্রথম দিন গতকাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৬ হাজার ৫৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮৪৭ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ২০৭ জন মহিলা। সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রে প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে, উপজেলা পর্যায়ে প্রথম দিন ১ হাজার ৪৬৫ জন টিকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তবে প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় দুটি উপজেলায় প্রথম দিন টিকাদান শুরু করা যায়নি। এগুলোতে আজ বুধবার থেকে টিকাদান শুরু হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় দেওয়া হচ্ছে সিনোফার্মের তৈরি চীনা টিকা।
চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল চমেক হাসপাতাল কেন্দ্রে এক হাজার ২৭৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১ হাজার ৫০ জন, চসিক জেনারেল হাসপাতালে ৭৫৯ জন, চসিক মোস্তফা হাকিম মাতৃসদনে ৯২৮ জন, চসিক বন্দরটিলা মাতৃসদনে ৪০৮ জন, চসিক ছাফা মোতালেব মাতৃসদনে ৫০০ জন, নৌবাহিনী হাসপাতালে ৫০০ জন, বিমানবাহিনী হাসপাতালে ১১০ জন, সিএমএইচে ৩২০ জন এবং বন্দর হাসপাতালে ২০০ জন প্রথম দিন টিকা নিয়েছেন। নগরের ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে পুলিশ লাইন হাসপাতালে প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয়নি।
শহরের মতো ততটা ভিড় ছিল না উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে। গতকাল গণ টিকাদানের প্রথম দিনে উপজেলা পর্যায়ে মোট টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে নারী ৩৪২ ও পুরুষ ১ হাজার ১২৩ জন। সবচেয়ে বেশি ৩০৬ জন টিকা পান ফটিকছড়িতে। সবচেয়ে কম ২০ জন টিকা নিয়েছেন সন্দ্বীপে। পটিয়া ও রাউজানে গতকাল টিকা দেওয়া হয়নি। প্রস্তুতি শেষ করতে না পারায় এ দুটি উপজেলায় টিকাদান শুরু করা যায়নি। আজ বুধবার থেকে এই দুই উপজেলায় টিকাদান শুরু করা হবে।