করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেন সঙ্কটে হাঁপিয়ে ওঠা নেপালের পক্ষ থেকে এভারেস্ট আরোহীদের ব্যবহৃত খালি সিলিন্ডার ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশের দেশ ভারতে মহামারীর রেকর্ড সংক্রমণ আর মৃত্যুর মধ্যে হিমালয়ের দেশ নেপালে কোভিড- ১৯ রোগীর সংখ্যা এক মাসের ব্যবধানে বেড়ে গেছে ৩০ গুণ। রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেঙে পড়া দুর্বল চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে নেপালের হাসপাতালগুলো থেকে জরুরি অক্সিজেন সরবরাহের আবেদন জানানো হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল সোমবার এভারেস্ট আরোহী এবং তাদের পথপ্রদর্শক শেরপাদের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো ফেলে না দিয়ে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে হিমালয় কন্যা নেপাল। খবর বিডিনিউজের।
দ্য নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন- এনএমএ’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কুল বাহাদুর গৌরাঙ্গ জানান, তাদের হিসাবে এপ্রিল-মে মৌসুমে পর্বতারোহীরা সাড়ে তিন হাজার সিলিন্ডার নিয়ে এভারেস্টে উঠতে পারেন। পর্বাতারোহণ এবং পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে এই মৌসুমে ৭০০ আরোহীকে হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার অনুমোদন দিয়েছে নেপাল। কুল বাহাদুর বলেন, আমরা পর্বতারোহী এবং শেরপাদের কাছে তাদের খালি সিলিন্ডারগুলো ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছি, যাতে তা আবারও ভরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সবচেয়ে জরুরি রোগীদের দেওয়া যায়। নেপাল সরকার রোববার জানায়, সেখানে একদিনে আট হাজার ৭৭৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত ৯ এপ্রিল শনাক্তের সংখ্যার চেয়ে ৩০ গুণ বেশি। এ পর্যন্ত সে দেশে মোট তিন লাখ ৯৪ হাজার ৬৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৭২০ জনের। রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল এবং কমিউনিটি হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, অক্সিজেনের অভাবে তাদের পক্ষে আর কোনো রোগী নেওয়া সম্ভব না। অক্সিজেন ছাড়াও তাদের সিলিন্ডারের ঘাটতি আছে। নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সমীর কুমার অধিকারী বলেন, লোকজনকে বাঁচাতে হলে দ্রুততার সঙ্গে আমাদের ২৫ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার দরকার। এটা আমাদের এক্ষুনি দরকার। সেই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ বেডসহ কমেপ্রসর এবং অঙিজেন উৎপাদন কেন্দ্র দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি। আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, চীনের কাছে ২০ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার চেয়েছে নেপাল। জরুরি প্রয়োজন মেটাতে তার কিছু বিমানে করে আনা হবে।