বৈরুতের পথে পথে ছোটাছুটি করে
নীল চোখের সিরিয়ান উদ্বাস্তু শিশুরা;
তাদের চোখে যেন ভূমধ্যসাগরের একরাশ নীলাশা!
এমন পথ শিশুর দেখা বাংলাদেশের অলিগলিতে।
এখানে কিছু মানুষ তাদের দিকে মায়ার দৃষ্টি হয়তো দেয়।
ওখানে উদ্বাস্তু শিশুগুলো যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ও অচ্ছুত!
ফেসবুকের নিউজফিড জুড়ে আছে–
ফিলিস্তিনের আহত ও নিহত শিশুদের ছবি।
খুব সন্তর্পণে এড়িয়ে যাই;
এক ঝলকও নিতে পারি না!
ওরাও হয়তো নাম লেখাচ্ছে নিজ দেশে পরবাসী হওয়ার।
কোনও এক উদ্বাস্তু শিবিরে বড় বড় মানুষের
ছোট মনের রক্তাক্ত যুদ্ধের মহড়ায় নিহত
বাবা–মায়ের আদরের সন্তান নির্মিলিত
চেয়ে থাকে শূন্যে…
পিতা–মাতার কোলে কাফনের সাদায় আবৃত আদরের মাণিক;
অজান্তেই গড়িয়ে পড়ে দু‘ফোঁটা অশ্রু, পাঁজর ভাঙ্গা কষ্ট!
তারপর, আবার ডুব দেই জাগতিক মায়ায়।।
দূর থেকে ফ্রেমবন্দি হয়ে মায়া কুড়ায়,
কেউ বা কোনও ভাবেই
তাদের ছায়া হতে না পারার গ্লানি
মাথায় নিয়ে এড়িয়ে যায় সেসব খবর নীরবে…
স্বাধীন কিংবা পরাধীন দেশের স্নেহহীন বেড়ে ওঠা
মহাকাশের মহাবিস্ময়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
পাশে থাকা ছোট্ট ভাই কিংবা বোন কেবল করে
মায়াহীন পৃথিবীর বুকে এক টুকরো মায়ার আবাদ!
ক্ষমা করো শিশু!
ক্ষমা করো আমার অপারগতায়,
ক্ষমা করো সুকান্তের অঙ্গীকার আজও না রাখায়!