সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটির বিয়ের দিন ছিল আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর)। বিয়ের আসরে এসেছে বরযাত্রী। চলছে খাওয়া-দাওয়া। কিছুক্ষণের মধ্যে বর আসবে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মেয়ে পক্ষ। কিন্তু এরই মধ্যে বরযাত্রীর পরিবর্তে ক্লাবে গিয়ে হাজির হলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট। মুহূর্তেই পণ্ড হয়ে যায় সব প্রস্তুতি। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে কমিউনিটি সেন্টারেই আসেননি বর ও কনে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের বুড়ির দোকান এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আজ দুপুরে।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ায় অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। বিয়ের খাবার পাঠিয়ে দেয়া হয় স্থানীয় এতিমখানায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন, “উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড নোয়াগাঁও এলাকার ২৬ বছরের এক যুবকের বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বর ও কনে পক্ষের কাউকে না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাদের আসতে বলা হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী’র কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় কনের বাবাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উভয় পরিবারের লোকজনকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝানো হয়েছে। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না মর্মে মেয়ের বাবা ১ লাখ টাকার বন্ডে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন।”