আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাদের (জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) এবং সংসদ সদস্যদের মতবিনিময় সভা শুরু হয়েছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলাসহ বিভাগের ১৪ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং এই বিভাগের সকল দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতারা মতবিনিময় করবেন। আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিম সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল–আলম হানিফ এমপিসহ দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ। সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে বলেন, আগামীকাল সকাল ১১টায় (আজ রোববার) আমাদের চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতারা মতবিনিময় সভা করবেন। জাতীয় নির্বাচন শেষ হয়েছে, এখন সামনে উপজেলা নির্বাচন। সভায় উপজেলা নির্বাচন এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে হয়তো কোনো দিকনির্দেশনা দিতে পারে। প্রত্যেক বিভাগের নেতাদের নিয়ে পর্যায়েক্রমে মতবিনিময় করবেন। চট্টগ্রাম বিভাগের ১৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নির্বাচিত সকল দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিরা উপস্থিত থাকবেন। আমরা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, উত্তর জেলা, মহানগরীর সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকগণ এবং দলের ও স্বতন্ত্র এমপিরা উপস্থিত থাকবো।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক কাউকে দেয়া হচ্ছে না। দল থেকে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। গতকাল রংপুর বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। নির্বাচনে এমপিরা নিজের লোক জেতাতে প্রভাব বিস্তার করলে দল কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না। নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের অনুরোধে উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে নৌকা দিয়েছি। এবার উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কতটা প্রতিযোগিতামূলক, কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে দেখা হবে। এই উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা যারা করতে চায় করুক। ইলেকশন সম্পূর্ণভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতে চাই।