মা ও শিশু হাসপাতালের উন্নয়নে এগিয়ে আসা উচিত

দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তি দেওয়া জমির দলিল হস্তান্তরে এমপি জাবেদ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩১ মার্চ, ২০২৪ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীর সম্পদ। দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামবাসীর নিজ দায়বদ্ধতা থেকে এই হাসপাতালের উন্নয়নে এগিয়ে আসা উচিত। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে নতুন নতুন সেবা চালুর মাধ্যমে এই হাসপাতাল চট্টগ্রামের মানুষের পাশে থাকবে।

গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালকে প্রতীকী মূল্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তি দেওয়া জমির দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। হাসপাতালের লাগোয়া ০.০৪৮৮ একর ভূমি হাসপাতালকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তি প্রদান করা হয়। তিনি হাসপাতালের সেবার মান ধরে রাখার পাশাপাশি দুস্থদের পাশে থাকারও আহ্বান জানান।

হাসপাতালটির সেবামূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে জাবেদ বলেন, সেবার মান ধরে রাখতে হবে। চিকিৎসাসেবা নিয়ে কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। সক্ষমতার বেশি রোগী নিয়ে যাতে সেবার মান নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ থাকার জন্য তিনি হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির প্রতি আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নামে সম্পাদিত জমির দলিল গতকাল হস্তান্তর করা হয়। সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি হাসাপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন এবং জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদের হাতে দলিল তুলে দেন। এ সময় আনোয়ারা উপজেলার চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি (ডোনার) সৈয়দ মোহাম্মদ আজিজ নাজিম উদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মোহাম্মদ সাগির, মেম্বার মো. হারুন ইউসুফ, ছৈয়দ ছগীর আহমদ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের উপদেষ্টা প্রফেসর এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রফেসর অসীম কুমার বড়ুয়া, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতাল কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি রেজাউল করিম আজাদ বলেন, দুই কাঠা আয়তনের জায়গাটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ক্যান্সার হাসপাতালের লাগোয়া এই জায়গা আমাদের না থাকায় ক্যান্সার হাসপাতাল সম্প্রসারণ করা যাচ্ছিল না। এখন সাবেক মন্ত্রী জাবেদ সাহেবের চেষ্টা এবং বদান্যতায় জায়গাটি পেলাম। এতে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল যে কী পরিমাণ উপকৃত হলো তা বলে বোঝানো যাবে না। আমরা এই জায়গায় ক্যান্সার হাসপাতালের বর্ধিত অংশ নির্মাণ করব। এতে ক্যান্সার হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনায় অনেক সুবিধা হবে। এই হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ যেভাবে সহায়তা করেছেন তার তুলনা হয় না। কোটি কোটি টাকা অনুদান প্রদান ছাড়াও হাসপাতালের মেশিনারিজ আমদানিসহ নানাভাবে সাহায্য করেছেন। তিনি সহজ শর্তে এবং জামানত ছাড়া ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে না দিলে এই হাসপাতাল এত দ্রুত চালু করা সম্ভব হতো না। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল তার কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

হাসপাতালের নামে জায়গাটি প্রতীকী মূল্যে বন্দোবস্তি প্রদান করায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি এবং জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানান কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন।

এ সময় জাবেদ বলেন, ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতার কিছু নেই। চট্টগ্রামের একজন সন্তান হিসেবে চট্টগ্রামের মানুষের জন্য আমি দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। সামনের দিনগুলোতেও চট্টগ্রামের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগের মতবিনিময় আজ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রাথমিকে ২৫ ও মাধ্যমিকে শিক্ষা ব্যয় বেড়েছে ৫১ শতাংশ