গত এক সপ্তাহ ধরে একটি ছবি বারবার হাজির হচ্ছিল। একটি নিখোঁজ সংবাদের পোস্টার। ফেসবুকে অনেকে শেয়ার দিচ্ছিলেন। পরিবার হন্ন হয়ে খুঁজছে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে। দাদার হাত ধরে এক বিকেলে মসজিদের মক্তবের উদ্দেশ্যে বের হয় আয়াত। নাতনিকে মসজিদের পাঠিয়ে দিয়ে একটি দোকানে যান দাদা। এরপর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি।
গত ১৫ নভেম্বর নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়াহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার মসজিদের পাশ থেকে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় আয়াতকে অপহরণ করা হয়। চট্টগ্রাম ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর ৫ বছরের শিশু আয়াতের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে। মুক্তিপণের জন্য অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় আয়াতকে।
পরে ওই শিশুকে ছয় টুকরো করে কাট্টলী সাগরপাড়ে ফেলে দেয়া হয়। সাম্প্রতিক কালে চট্টগ্রাম শহরে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। নৃশংসতার শিকার হচ্ছে একের পর এক শিশু। হঠাৎ করে এমনটা হওয়ার কারণ আর মা-বাবাদের ঠিক কী ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এসব নিয়ে বক্তব্য আসা উচিত।
আমরা সাধারণেরা বুঝতে পারলেও, যাদের বোঝার কথা তাঁরা কেন বুঝছেন না? বিচারহীনতা, বিচারে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিশু খুন, ধর্ষণ, নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে। এর ফলে সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত রূপ ফুটে উঠেছে। ক্রমাগত শিশু খুনের ঘটনা ঘটছে। আয়াতের হত্যাকারীকে দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।