কাল নিলামে তোলা হচ্ছে ৫০ লট পণ্য

আছে ১৮০টি সিএনজি ট্যাক্সিসহ নানা সামগ্রী

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা ফোর স্ট্রোক সিএনজি ট্যাক্সিসহ বিভিন্ন ধরণের ৫০ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে কাল। নিলামের মাধ্যমে জব্দ এবং অখালাসকৃত পণ্য বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমার পাশাপাশি বন্দরে জট কমাতে নিলামের গতি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্তারা।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর ধরে প্রতি মাসে নিয়ম করে অন্তত দুটি নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ম্যানুয়াল পদ্ধতির নিলাম ছাড়াও এখন পর্যন্ত দুটি ই-অকশন (অনলাইন নিলাম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকালের নিলামে ১৮০টি ফোর স্ট্রোক সিএনজি ট্যাক্সিসহ আসবাবপত্র, খালি প্লাস্টিক বোতল, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার, স্টিকার ও সিকিউরিটি ট্যাগ, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার ও ক্লিপ, ওয়াল টাইলস, মেশিনারিজ, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, গার্মেন্টস ফেব্রিক্স এবং রেকসিনের কাপড় রয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ শুরু হয়। চলবে আজ শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করে জমা দেওয়া যাবে আগামীকাল দুপুর ২টার মধ্যে। এরপর বেলা আড়াইটায় বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) উপস্থিতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে নিলামের বক্স খোলা হবে। নিলাম উপলক্ষে বরাবরের মতোই কাস্টমসের নিলাম শাখায় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার (সদর) এর দপ্তরে দরপত্র জমা দেয়ার বক্স স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) ফয়সাল বিন রহমান জানান, চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে নিলামের গতি বাড়ানো হয়েছে। নিলামের পাশাপাশি আমরা নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসও করছি। দীর্ঘ সময় জব্দ কিংবা অখালাসকৃত পণ্য বন্দরের শেডে পড়ে থাকার কারণে ইয়ার্ডে জট সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে টানা নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে সেই জট পরিস্কার করা হচ্ছে। একই সাথে নিলাম থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়ছে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল দুই মোটরসাইকেল আরোহীর
পরবর্তী নিবন্ধশাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের লাঠিপেটা