অভিনব এক প্রতারক সে। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে মোটর সাইকেল কিনতে চায়। মোটর সাইকেল দেখাতে বিক্রেতা আসেন। সেও আসে প্রাইভেট কারে চেপে। এই প্রাইভেট কারটি আবার রেন্ট এ কার থেকে ভাড়া করা। কারের ড্রাইভারও বুঝতে পারেন না বিষয় কী। মোটর সাইকেল বিক্রেতার বোঝার প্রশ্নই উঠে না। প্রতারক মোটর সাইকেল চালিয়ে দেখার নাম করে নিয়ে পালায়। বিক্রেতা ভাবে, প্রাইভেট কার তো রেখে গেছে। অবশেষে আর ফিরে না এলে ভুল ভাঙে।
নগরীতে বিদেশি জাহাজের এক প্রকৌশলীর কাছ থেকে মোটর সাইকেল কিনতে গিয়ে সেটি নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়ে ইপিজেড থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে এ প্রতারককে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বায়েজিদ বোস্তামি থানার অঙিজেন মোড়ে জেলা পরিষদ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর স্থানীয় আল মক্কা ভবনে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় হাতিয়ে নেওয়া মোটর সাইকেলটিও।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া আজাদীকে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর রহমানের (২৪) বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলায়। পরিবার নিয়ে সে জেলা পরিষদ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় থাকে।
ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, বন্দরটিলা নেভি হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তিন মাস আগে দেশে এসে শখের বশে একটি মোটর সাইকেল কেনেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় জাহাজে ফেরার আগে গত ২১ মে ফেসবুকের একটি গ্রুপে তিনি মোটর সাইকেলটি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন। যোগাযোগের জন্য দেন নিজের মোবাইল নম্বরও। মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে গত ২৩ মে বিকেলে দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় প্রাইভেট কার যোগে যায় মোস্তাফিজুর। বিক্রেতাও মোটর সাইকেল নিয়ে সেখানে আসে। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর ট্রায়াল দেওয়ার কথা বলে মোস্তাফিজুর মোটর সাইকেল নিয়ে উধাও হয়ে যায়। প্রায় আধঘণ্টা পরও ফিরে না আসায় ওই প্রকৌশলী প্রাইভেট কারের চালককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
প্রাইভেট কারের চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তিনি নিজেও প্রতারিত। নগরীর আতুরার ডিপো থেকে তাকে ভাড়া করে সেখানে নিয়ে যায় মোস্তাফিজুর।
ওসি বলেন, আমরা মোস্তাফিজুরের মোবাইল নম্বর নিয়ে তাকে ছেড়ে দিই। পরবর্তীতে অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করি। সে ৫-৬টি সিম ব্যবহার করে। একেকজনের সঙ্গে একেক সিম দিয়ে কথা বলে।