ভূমি উন্নয়ন করের টাকা আত্মসাৎ করেছে, এমন অভিযোগে কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের তহসিলদার (ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা) মো. শাহাদাত হোসেন ও অফিস সহায়ক মো. এমদাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালিয়ে আটক পরবর্তী তাদেরকে পুলিশ ও দুদকের হাতে তুলে দেয় জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের স্ট্যাফ অফিসার ওমর ফারুক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভূমি করের প্রায় ২৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় সুমন চৌধুরী নামে আরও একজন পলাতক রয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেন আগ্রাবাদ সার্কেলের দক্ষিণ পাহাড়তলী ভূমি অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় সহযোগী এমদাদসহ ভূমি উন্নয়ন করের চালান জালিয়াতি করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। ভূমি উন্নয়ন করের টাকা সরকারের কোষাগারে চালানের মাধ্যমে জমা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তারা তা করেননি। জেলা প্রশাসন সূত্র আরো জানায়, কর্ণফুলী ভূমি অফিসের আওতাধীন শিকলবাহা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগে রয়েছে। তিনি চালান জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন করের ৩০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি রাঙ্গুনিয়া ভূমি অফিসের আওতাধীন ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালীন সময়েও ভূমি উন্নয়ন করের প্রায় ৭১ লাখ ৬৩ হাজার টাকাও আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। সুমন চৌধুরী বর্তমানে পলাতক আছেন। তবে খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যেখানেই দুর্নীতির বিষয়টি পাওয়া যাচ্ছে ও যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সম্প্রতি এলএ শাখার দুই দালালসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।