চট্টগ্রাম আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের উদ্যোগে ২০–২২ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারচেইন্জ অব লাইন’ শীর্ষক এক চিত্রকলা প্রদর্শনী চট্টগ্রামের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর বিকাল ৪টায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের পরিচালক ব্রুনো ল্যাকরেম্পে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের উপ–পরিচালক ড. গুরুপদ চক্রবর্তী, কর্মশালার কো–অর্ডিনেটর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর প্রণব মিত্র চৌধুরী, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পী চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর উত্তম বড়ুয়া, চিত্রশিল্পী জাবের আহমেদ চৌধুরী, চিত্রশিল্পী সামসুল আলম সোহেল, চিত্রশিল্পী জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, চিত্রশিল্পী আজিজুল কদির, চিত্রশিল্পী সুমন হালদার ও চিত্রশিল্পী বাবলু দাশ উপস্থিত ছিলেন। চিত্রকলা প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত প্রায় ৫০টি চিত্রকলা গত ১৩–১৯ নভেম্বর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আঁকা ৮ শিল্পীর বাছাইকৃত শিল্পকর্ম। প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে অংশগ্রহণকারী শিল্পীবৃন্দের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন বু্রনো ল্যাকরেম্পে। প্রদর্শনীতে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী, শিল্পরসিক, শিল্পসমালোচক ও সাধারণ দর্শকের সমাগম ঘটে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের পরিচালক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে দৃশ্যশিল্পের স্থবিরতা কাটিয়ে নব উদ্যোগে চারুকলা চর্চার যাত্রা শুরু হলো। এই কর্মশালা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত ও গর্বিত। এই ধরনের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে শিল্পী ও শিল্পরসিক উভয়ে তাদের মননের অনুভতির সৃজনশীলতা সচল থাকে।
কর্মশালার কো–অর্ডিনেটর প্রফেসর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, বর্তমানে একটি কঠিন সময় সবাই অতিক্রম করছে। করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছিল। একই সাথে আমাদের নতুন প্রজন্মও নানা কারণে বিপদগামী হতে শুরু করেছে। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে প্রথমে কর্মশালা এবং পরে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যদিয়ে পিছিয়ে পড়া সমাজকে কিছুটা হলেও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি মাত্র। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
