চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাক্কা আমরা ভালোভাবে সামাল দিয়ে জীবন ও জীবিকার চাকাকে গতিশীল রেখেছি। শীত মৌসুমে দ্বিতীয় ধাক্কার যে আভাস রয়েছে তা মোকাবেলা করতে হলে এখন থেকেই তার বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে। তাহলে একাত্তরের মতই এ যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হবো। তিনি আরো বলেন, এই যুদ্ধ অস্ত্র দিয়ে নয়, জনসচেতনতা ও আত্ম সুরক্ষার কৌশলগুলো রপ্ত করে প্রাত্যহিক জীবন-যাপনে প্রয়োগ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অপ্রয়োজনীয় লোক সমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।তিনি গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতায় মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে উন্নত দেশগুলোরও কোনো আগাম ধারণা ও প্রস্তুতি ছিলো না। তাই ঐ দেশগুলোতে করোনার ছোবলে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছিলো। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে করোনা সনাক্ত হলেও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় কিছুটা ধাক্কা লাগলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সামাল দিতে শূন্য থেকে একাত্তরের রণাঙ্গনের মতই জরুরি প্রতিরোধ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। একাত্তরের মতই যার যা কিছু আছে তা নিয়ে মনোবলকে সম্বল করে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী শ্রেণির নেতা-কর্মীরা সম্মুখ যুদ্ধের প্রতিরোধ ব্যরিকেড তৈরি করায় বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। তিনি রেয়াজুদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী, দোকানদার, কর্মচারীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে লোক চলাচলের পথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ডা. আর কে রুবেল, প্রফেসর জিনো বোধি ভিক্ষু, সজল চৌধুরী, মনির আহমদ, মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, এস এম জাভেদ হোসেন, আবদুস সালাম মাসুম, আকতার হোসেন, নাসির উদ্দীন, সালেহ আহমদ সোলেমান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।