করোনা : প্রয়োজন সচেতনতা সাবধানতা আর সহযোগিতা

জোনাকী দত্ত | সোমবার , ২৯ মার্চ, ২০২১ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

গত বছর ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা বারবার সামাজিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরার কথা বলছেন। সারা বিশ্বে এই ভাইরাস কিভাবে নির্মূল করা যায় তার জন্য গবেষণা চলছে।এই করোনা থেকে মানুষ অনেক শিক্ষা পেয়েছে। করোনায় সম্মুখ সারির যোদ্ধারা যেমন ছিল তেমনি লুটতরাজের সংখ্যাও কম ছিল না। যেসব মানুষ অনাহারে ছিল তাদের সেবার জন্য যে দ্রব্য তা লুট করতে ও মানুষ দ্বিধাবোধ করেনি। অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্যের দামও বাড়িয়েছে। করোনার সময় দেখা যায় ভিখারি ও মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। রাস্তায় অন্ধকারে একমুঠো খাবারের জন্য মানুষ অপেক্ষা করেছে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সাহায্যে পুলিশ, সেনাবাহিনী এগিয়ে এসেছে। ছাত্র, স্বেচ্ছাসেবক, বিভিন্ন সংগঠন যে যেভাবে পেরেছে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানুষ চাকরি, ব্যবসা, এমনকি প্রিয়জন হারানোর পরও ধৈর্য হারায়নি। ঘরে শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে সময় পার করেছে। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স নিজের পরিবারের কথা না ভেবে করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছে। এই সময়ে মানুষ দিয়েছে মানবতার পরিচয়। করোনা যোদ্ধাদের এই অবদানের জন্য মানুষ হাততালি দিয়ে তাদের অভিবাদন জানিয়েছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি মানুষের বিশ্বাস ছিল বলে এই করোনাকে প্রতিরোধ করার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে মানুষ। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যাতে ভ্যাকসিন নিতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। এখন মানুষের জীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। একদিন মানুষ সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত হবে। তার জন্য প্রয়োজন মানুষের সচেতনতা, সাবধানতা আর সহযোগিতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপ্রয়োজনীয় ছটফটানি
পরবর্তী নিবন্ধস্বজনের চোখে ভাস্বর : ভাস্কর নভেরা